ব্যুরো নিউজ,২৮ অক্টোবর:২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে একাধিকবার রেশন কার্ডের অপব্যবহার এবং সরকারের খাদ্য সামগ্রী বন্টনের দুর্নীতির সহ নানান ধরনের অপকর্মে জড়িত থাকায় মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকের এক রেশন ডিলারকে ৭ কোটি ৮৬000 টাকা জরিমানা করলো জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তর। তার পাশাপাশি ওই অভিযুক্ত রেশন ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে এবং তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই অভিযুক্ত রেশন ডিলার।
নন্দীগ্রামে বিজেপির বিপুল জয়ঃ কড়া জবাব তৃণমূলকে
খাদ্য সামগ্রী বন্টনে দুর্নীতি
মালদহ জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস জানিয়েছেন কালিয়াচক-৩ ব্লকের সাহাবাগানচকের ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সদর মহকুমা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। তারই পাশাপাশি তাকে ৭ কোটি ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শাশ্বত বলেন ‘ঘটনাটি আমার মালদহ জেলায় দায়িত্ব নেবার আগে ঘটেছে। তবে মালদহ সদর খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে যথাযথ তদন্ত করেই এই জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল।’ জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাহাবাগানচক এলাকায় ওই অভিযুক্ত রেশন ডিলারের নিজের দোকান রয়েছে। তিনি ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে একাধিকবার রেশন কার্ডের অপব্যবহার করেছেন, সরকারি খাদ্য সামগ্রী বন্টনে দুর্নীতি করেছেন।
ভারত-চিন সীমান্তে নতুন আলোঃ সেনা সরানোর পথে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর
ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খাদ্য দুর্নীতির অভিযোগ এতটাই ছিল যে সেখানকার এলাকার রেশন গ্রাহকদের একাংশ গনস্বাক্ষর অভিযান করেছিলেন । গণস্বাক্ষরের পর নড়ে চড়ে বসেন আধিকারিকেরা। শুরু হয় তদন্ত । তদন্তের পরেই তার একের পর এক দুর্নীতির কথা উঠে আসে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন যে ওই ডিলারের কাছে সরকারি খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যেত না। সমস্ত খাদ্য সামগ্রী সীমান্তের ওপারে অর্থাৎ বাংলাদেশে পাচার করা হতো।। স্থানীয়দের দাবি সাহাবাগানচক এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন ওই অভিযুক্ত রেশন ডিলার ।
