ভুতের সিনেমার উপকারিতা

ব্যুরো নিউজ ২৮ অক্টোবর : অন্ধকার ঘর, নীলাভ আলো, এবং আচমকা চিল চিৎকার—এটা ভূতুড়ে সিনেমার আবহ। যারা ভূতুড়ে গল্প এবং সিনেমার প্রেমী, তাদের জন্য এই দৃশ্য ভীতিকর হলেও বাস্তব। তবে, যতই ভয় লাগুক, গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভয়াবহ সিনেমা দেখা শরীর এবং মনের জন্য উপকারী।

“আরজি কর ইস‍্যু থেকে নজর ঘোরাতেই প্রতিবাদ মিছিল”,মমতার পদত্যাগ দাবি করেছেন নির্ভয়ার মা

গবেষকদের দাবি:

১. শারীরিক সচেতনতা: ভয়াবহ সিনেমা দেখার সময় শরীর সচেতন হয়ে ওঠে। আচমকা ভূতের চিৎকারে আপনি যখন লাফিয়ে ওঠেন, তখন প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখা প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার সমান।

২. মানসিক চাপ মুক্তি: ভয়ের সিনেমা দেখলে আপনার মন এতটাই মশগুল হয়ে যায় যে বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলি ক্ষণিকের জন্য ভুলে যান। উদাহরণস্বরূপ, ‘রাগিনী এমএমএস’ বা ‘এভিল ডেড’ দেখার সময় আপনার মস্তিষ্ক সর্বাধিক সচেতন হয়ে ওঠে, ফলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

৩. অ্যাড্রিনালিন রাশ: ভয়াবহ সিনেমা দেখার সময় পুরুষ ও নারীদের শরীরে অ্যাড্রিনালিন রাশ হয়। এর ফলে রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. সম্পর্কে গাঢ়তা: প্রেমের প্রথম উষ্ণতার অনুভূতি পেতে সঙ্গীকে নিয়ে ভয়ের সিনেমা দেখা একটি দারুণ উপায়। ভয়ের অজুহাতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ পেতে পারেন, যা সম্পর্ককে আরও গাঢ় করবে।

৫. মানসিক শক্তি: ভৌতিক সিনেমা মানুষের মধ্যে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ার শক্তি জাগ্রত করে। দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় আমরা চাপ অনুভব করি। ভয়ের সিনেমা দেখা একদিকে যেমন ভয়াবহ, তেমনই এটি আমাদের জীবনের অন্যান্য ভালো-মন্দ বিষয়গুলোকে গৌণ করে দেয়।

উৎসবের সময়ে ভিন্ন স্বাদের লুচির সঙ্গী, ডালপুরির রেসিপি

অতএব, যদি আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সুখের অভাব থাকে অথবা অফিসে শান্তি না থাকে, তাহলে ভয়ের সিনেমা দেখাই হতে পারে আপনার জন্য সেরা সমাধান। কারণ, ভয়াবহ অনুভূতি জীবনের অন্যান্য সমস্যা ভুলিয়ে দিতে পারে।

https://www.youtube.com/live/vBDlMjzuOEg?si=2QLDefCl95XDPYLH

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর