ব্যুরো নিউজ, ২৫ অক্টোবর :ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। এর প্রভাব ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে। মৌসম ভবন জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ডানার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর তা শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে টেইল বা লেজ স্থলভাগে প্রবেশ করতে শুরু করবে। এখনো পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারে ৬৪ মিলিমিটার, দীঘায় ৩৭ মিলিমিটার এবং হলদিয়ায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি ডাক্তার অভীক দে-র বিরুদ্ধে তদন্তে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত
ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডব
এছাড়া ওড়িশার চাঁদবালিতে সর্বাধিক ১৪২.৬ মিলিমিটার, ভুবনেশ্বরে ২০.৪ মিলিমিটার, বালেশ্বরে ৪৪.৮ মিলিমিটার এবং পারাদ্বীপে ৭৫.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতি বর্তমানে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হয়েছে। যা কোথাও কোথাও ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আশঙ্কায় ভুগছেন সবজি চাষীরা
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই ‘ডানা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। তখন এটি সিভিয়ার ঘূর্নিঝড় থেকে সাধারণ ঘূর্নিঝড় পরিণত হবে। পরবর্তী সময়ে এই ঘূর্ণিঝড় ছত্তীসগঢ় ও মধ্য প্রদেশের দিকে অগ্রসর হবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র জন্যই কি বন্ধ মেট্রো? কি বলছে মেট্রো আধিকারিকরা
স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সকলকে নিরাপদ স্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। বৃষ্টির কারণে নদীর জলস্তরের বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবী ও উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
