ব্যুরো নিউজ,২৪ অক্টোবর:এসএসকেএম হাসপাতালে পিজিটি ডাক্তার অভীক দে-র বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর দ্বারা গঠিত তদন্ত কমিটি সম্প্রতি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে অভীকের এমডি কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া বেয়াইনি ছিল।তদন্তে আরও জানা গেছে, অভীক রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অন্যতম মাথা ছিলেন। পরীক্ষায় অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে অবৈধভাবে নম্বর বাড়ানো বা কমানোর অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
Lawrence Bishnoi ঃ জেলে থেকেও কিভাবে অপারেশন চালান তিনি ?জেনে নিন
অভিযোগ
বিরুপাক্ষ সরকারি নীল বাতির গাড়িতে বেআইনিভাবে ঘুরতেন এবং ছুটির আবেদন না করেই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে যাতায়াত করতেন। তার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় এফআইআরও রয়েছে। তিনি একটি অর্ধনগ্ন রোগিনীর ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন যেটা একেবারে অনৈতিক।তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে অভীক দে-র বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এবং আরও উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে।অভীকের বিরুদ্ধে সিনিয়র ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, এবং নার্সদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।মুর্শিদাবাদে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে তার সন্তানকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার জন্য অর্থ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ডাক্তার অনুপম মণ্ডলকে স্বাস্থ্য দফতরে বদলির নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
আরজি কর কাণ্ডের পর ডাক্তার বিরুপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছিল। তদন্ত কমিটি বিরুপাক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে এবং তাকে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রাজ্যের পাঁচটি মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালদেরও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিরুপাক্ষের বিরুদ্ধে।