ব্যুরো নিউজ, ২৪ অক্টোবর :দেশকে কলেরামুক্ত করার লক্ষ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্যোগী হল আইসিএমআর-নাইসেড। ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা দেশকে কলেরামুক্ত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে বিশেষ ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া।
সাইক্লোন ‘ডানা’ আতঙ্কের মাঝে কলকাতার টেরিটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
৫০ হাজার মানুষকে টিকাকরণের
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর ২ নম্বর ব্লকে ‘কলেরা ভ্যাক্সিন কমিউনিটি ইন্ট্রোডাকশন’ তৈরি করা হয়েছে। এখানে নাহাজারি, খাগড়ামুড়ি ও বাকরাহাট—এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে কলেরার প্রতিষেধক। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হবে এবং পরে অন্যান্য রাজ্যেও এটি প্রয়োগ করা হবে।
ডানার দাপটে আতঙ্কে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির!
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রস্তুত করা ভ্যাকসিনের নাম ‘ইউভিকল প্লাস’। এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ ১৪ দিনের ব্যবধানে ১.৫ মিলিলিটার করে দেওয়া হবে। পরবর্তী দুই বছর ধরে এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আইসিএমআর-নাইসেডের ডিরেক্টর ড. শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, দেশে এখনও কলেরার ঘটনা ঘটে। যা সাধারণত বর্ষাকালে বৃদ্ধি পায়। তিনি উল্লেখ করেন, দেশে কলেরার জন্য ভ্যাকসিন রয়েছে তবে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। নতুন ভ্যাকসিনটি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় ৫০ হাজার মানুষকে টিকাকরণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের চা প্রত্যাখ্যান, সহযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা
সেরোসার্ভের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে কলেরার জীবাণু রয়েছে। বাংলাকে ‘হোমল্যান্ড অব কলেরা’ বলার পেছনে এই তথ্যই কাজ করেছে। ১ বছর ও তার বেশি বয়সীদের বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
নাইসেডের বিজ্ঞানী সুমন কানুনগো জানান, কলেরা প্রতিরোধে জল ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। ৪০ জনের একটি টিম গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে। তারা দেখবে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কেউ ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা। কলেরা প্রবণ এলাকাতেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।