ব্যুরো নিউজ, ২৩ অক্টোবর :ডানা ইতিমধ্যেই সাগরে শক্তি সঞ্চয় করে দ্রুত এগিয়ে আসছে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলা-ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সরকার। বিভিন্ন ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
হাওড়ায় সাতসকালে রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের গোডাউনে ইডির হানা
মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব কাটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমানসংস্থা
পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ আপাতত নিষিদ্ধ থাকবে। মন্দিরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে, তবে পুজো বন্ধ থাকবে না। প্রতিদিনের মতোই জগন্নাথ দেবের পূজা আচার অনুযায়ী চলতে থাকবে।
আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ডানা বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে ওড়িশায়। এর আগে সতর্কতা হিসাবে, ওড়িশার ১৪টি জেলায় স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। উপকূলবর্তী ও নিচু এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে প্রায় দেড়শোটিরও বেশি ট্রেন বাতিল শিয়ালদা ডিভিশনে
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পুজারি জানিয়েছেন, ৮০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্কুল-কলেজের ৫০০টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্রও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি টিম ও পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি টিম স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে, যাতে দ্রুত সহায়তা প্রদান করা যায়।
