ব্যুরো নিউজ,২১ অক্টোবর:ভারতের বিভিন্ন জায়গার মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ সুগম করতে শুরু হয়েছে আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রকল্প, যার নামকরণ করা হয়েছে ‘উড়ান’। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রকল্পের আওতায় তিনটি নতুন বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন। নতুন বিমানবন্দরগুলো অবস্থিত মধ্যপ্রদেশের রেওয়া, ছত্তীসগড়ের অম্বিকাপুর এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর।’উড়ান’ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের সাধারণ মানুষের জন্য বিমানে যাতায়াতের সুবিধা তৈরি করা, যাতে তারা দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছাতে পারেন। এই প্রকল্পের আওতায় শীঘ্রই ভর্তুকি মূল্যে বিমান পরিষেবা শুরু হবে।
প্রধান বিচারপতির ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসঃ প্রার্থনা ‘রাম জন্মভূমি মামলার সঠিক সমাধান চাই’!
নতুন সোনালী দশক
রবিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেশের সাধারণ মানুষকে আকাশপথে যাতায়াতের সুযোগ দিতে চাই।” উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর বিমান মন্ত্রক এই জাতীয় অসামরিক উড়ান নীতির ঘোষণা করে, এবং রবিবার তার অষ্টম বর্ষপূর্তি পালন করা হয় বারাণসীতে।’উড়ান’ প্রকল্পের অধীনে ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল প্রথম ‘উড়ান’ বিমান সিমলা-দিল্লি রুটে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এরপর থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী এই পরিষেবা ব্যবহার করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৬০০টিরও বেশি ‘উড়ান’ রুট তৈরি করা হয়েছে।
চুঁচুড়ার আন্দোলনে ডাক্তার ও ছাত্রদের একাত্মতাঃ বিধায়কের কটাক্ষ
নতুন প্রকল্পের ফলে ছোট শহরের বাসিন্দারাও বিমানের সুবিধা পাচ্ছেন। এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭-এর মতো বিমানগুলি বিভিন্ন রুটে সেবা প্রদান করছে। এছাড়া, ছোট বিমান ও হেলিকপ্টার দিয়েও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।আকাশপথের এই নতুন দিগন্ত প্রসারের প্রশংসা করেছেন ইন্টারগ্লোব এভিয়েশনের এমডি রাহুল ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের বিমান পরিষেবা প্রদানের পদ্ধতি আগে কখনও দেখা যায়নি।” একইভাবে, আকাশ এয়ারের সিইও বিনয় দুবে মন্তব্য করেন, “বিমান পরিষেবায় এক নতুন সোনালী দশক আসতে চলেছে।”