ব্যুরো নিউজ ১৭ অক্টোবর : শুক্রবারের ডার্বির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মোহনবাগানের অনুশীলনে। যুবভারতীর মাঠে জ্যাসন কামিংসদের অনুশীলনে উপস্থিত মোহনবাগান সমর্থকদের উচ্ছ্বাস সত্যিই প্রশংসনীয়। মহামেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস যেমন বেড়ে গেছে, তেমনই সমর্থকদের আস্থাও ফিরে এসেছে। বিশেষ করে সুনীল ছেত্রীর কাছে হেরে যাওয়ার পর এই আস্থা কিছুটা কমে গিয়েছিল।
কৃষকদের জন্য সুখবর এমএসপি বাড়ল ছয় ধরনের রবি শস্যের!
ডার্বির পরিকল্পনা
সোমবার থেকেই বড় ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, যদিও সকল খেলোয়াড় অনুশীলনে যোগ দেননি। জাতীয় দলের সদস্য আপুইয়া ও শুভাশিস বসু ফিরে এসে সোমবার যোগ দেন। মঙ্গলবার, পুরো দলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন কোচ জোসে মোলিনা। প্রায় পঁইত্রিশ মিনিটের এই বৈঠকে আসন্ন ডার্বির জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।অনুশীলনে কোচ প্র্যাকটিসে জোর দেন। তিনি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুই উইংয়ের ব্যবহার করে আক্রমণ পরিকল্পনা করেন। লিস্টন কোলাসোদের নিয়ে দিমিত্রি ও মনবীরের উদ্দেশ্যে সেন্টার করানোর কাজও হয়। শুভাশিস বসুও কিছু গোল করার চেষ্টা করেন। এই অনুশীলনে গ্রেগ স্টুয়ার্টও নজর কাড়েন। সমর্থকদের হাততালিতে বোঝা যায়, তারা ডার্বির জন্য প্রস্তুত।তবে, এক সমস্যা রয়ে গেছে। আলবার্তো এখনও দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। তিনি ফিজিওর সঙ্গে আলাদা ভাবে অনুশীলন করছেন। যদি শনিবার তিনি খেলতে নাও পারেন, তাহলে রক্ষণের বিষয়ে কিছুটা চিন্তা থাকতে পারে মোলিনার।
মোহনবাগান নাকি ইস্ট বেঙ্গল- কোন দলের সমর্থক বলিউডের মহানায়ক অমিতাভ
অনুশীলনে নুনো রেইসের পারফরম্যান্সও নজরকাড়া ছিল। অনুশীলনের শেষে ম্যাকলারেনের কাছে ডার্বিতে গোলের প্রত্যাশা জানিয়েছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। অজি তারকা ম্যাকলারেন বলেন, “গত মরশুমের ডার্বি আমি দেখেছি। এটা ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এই ম্যাচ খেলতে পারব ভেবে গর্ব হচ্ছে।”দলটির তরুণ খেলোয়াড় দীপেন্দু বিশ্বাসও এই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝে তৈরি হচ্ছেন। তিনি জানান, “আমি বাঙালি হয়ে এই ম্যাচটার গুরুত্ব বুঝি। আমরা নিজেদের একশো শতাংশ দিয়ে জয়ী হতে চাই।”