ব্যুরো নিউজ ১৫ অক্টোবর : পুজো মণ্ডপের পর এবার গঙ্গার ঘাটেও ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কয়েক দিন আগে গ্রেপ্তার হওয়া নয়জন যুবক জামিন পেলেও আদালত মণ্ডপের আশপাশে বিক্ষোভ দেখানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে বিসর্জনের সময় কলকাতার গঙ্গার ঘাটে এই স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় প্রশাসন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
কি কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জেনে নিন
দশমীর দিন থেকেই কলকাতার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে শুরু হয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জন। সোমবার সেই সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কিছু মহিলা স্লোগান দিচ্ছেন, “বাজছে কাঁসর বাজছে ঢাক, তিলোত্তমা বিচার পাক।” পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে যে, এই ধরনের স্লোগান দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গঙ্গার যে সব ঘাটে বিসর্জন হচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম এবং প্রশিক্ষিত ডুবুরি নিয়োজিত করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটের নিরাপত্তার দায়িত্বে ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার রয়েছেন, যাদের তত্ত্বাবধানে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ডিসি পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ আছেন। সাতটি ঘাটে ওয়াচ টাওয়ারও তৈরি করা হয়েছে।কলকাতা পুরসভার মেয়র দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, বিসর্জনের জন্য গঙ্গার সব ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে, বিসর্জনের পর সমস্ত কাঠামো তুলে নেওয়া হবে এবং পুজোর ফুল, পাতা, সিঁদুর ও তেল গঙ্গায় ফেলতে দেওয়া হবে না। এগুলো আলাদা জায়গায় সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পেঁচার মূর্তি ঘরে রাখা শুভ না কি অশুভ ? জানুন কি বলছে বাস্তুশাস্ত্র
এদিকে, বিসর্জনের একটি ভিডিও ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপ্রতিমা করাত দিয়ে কেটে জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে। তার দাবি, কৃষ্ণনগর পুরসভার নির্দেশে এটি করা হয়েছে। এই ছবি অনেকের আবেগে আঘাত হেনেছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, “হয়তো পরিবেশ রক্ষায় এটি করা হয়েছে, কিন্তু আরও সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত ছিল যাতে মানুষের ভাবাবেগে আঘাত না লাগে।”