ব্যুরো নিউজ,১২ অক্টোবর:সম্প্রতি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মাঝে একটি গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা যারা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অনশন করছেন, তাদের পরিবারে চাপ সৃষ্টি করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এই অভিযোগ করেছেন যে, জুনিয়র ডাক্তার অলোক বর্মার পরিবারের সদস্যদের পুলিশ ফোন করে অনশন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
চিকিৎসকদের ১০ দফা দাব, ধর্মতলায় আমরণ অনশন চলছে
সহমর্মিতা প্রকাশ
অলোক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র, সম্প্রতি কলকাতার ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। তিনি কলকাতায় উপস্থিত নন, বরং উত্তরবঙ্গেই অন্য এক জুনিয়র ডাক্তারকে নিয়ে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অলোকের পরিবারের সদস্যদের ফোন করে বলেছে যে, অলোকের শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে এবং তাকে অনশন তুলে নিতে বলা হচ্ছে।অলোক জানিয়েছেন, পুলিশ তাকে সরাসরি হুমকি দেয়নি, তবে তার মাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, পুলিশ যা বলুক, তিনি মাথানত করবেন না এবং তাদের দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
তামিলনাড়ুর রেলপথে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা
দেবাশিস হালদার, জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের অন্যতম মুখ, বলেছেন যে তারা পুলিশের চাপকে ভয় পান না। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন রাজ্য সরকার ন্যূনতম দাবিগুলি মেনে নিতে পারছে না। তার মতে, সরকারের এই অসংবেদনশীলতা পুরো ঘটনাটিকে আরো জটিল করে তুলছে।এই পরিস্থিতি রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশকে তোলপাড় করে ফেলেছে, যেখানে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সমঝোতার অভিযোগ উঠছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি, তবে পরিস্থিতি কি দিকে যাবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।