ব্যুরো নিউজ,৪ অক্টোবর:প্রায় ১০ ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠকের পর অবশেষে জুনিয়র ডাক্তারদের প্যান জেনারেল বডি (জিবি) বৈঠক শেষ হলো। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা শুক্রবারের মধ্যে জানানো হবে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন ডাক্তাররা।বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। সিনিয়র ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী, পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন তারা। অনেক সিনিয়র ডাক্তার প্রস্তাব দিয়েছেন, আন্দোলনের কোনও বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা হোক এবং অন্তত আংশিক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা উচিত।
চেগোস দ্বীপপুঞ্জের দখল মরিশাসের হাতে
সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক
সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসে, “কর্মবিরতির বদলে কি অন্য কিছু করা যায়?” এর ফলস্বরূপ, সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পৃথক প্যান জিবি বৈঠক শুরু হয়। রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে এর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তারা জানতে আগ্রহী যে, জুনিয়র ডাক্তাররা পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন কিনা।৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তারা ওপিডি ও আইপিডিতে জরুরি পরিষেবা প্রদান করছেন। এ কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ বৈঠকে বসেছিল। সেখানে, প্রায় আট ঘণ্টার আলোচনা শেষে, জুনিয়র ডাক্তাররা পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
মোমবাতির আলোঃ প্রতিবাদের নতুন প্রতীক
এদিকে, একই সময়ে আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার বিরুদ্ধেও ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অভিযোগ ছিল। এই ঘটনায় চিকিৎসক মহলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি, যার মধ্যে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা অন্যতম, তা আবারও সামনে এসেছে।আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা জানার জন্য এখন রাজ্যবাসী অপেক্ষা করছে।