ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:মধ্যরাতে খাস দিল্লির নিমা হাসপাতালে এক চিকিৎসককে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটেছে, যা গোটা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বুধবার রাতে চিকিৎসক জাভেদ আখতার হাসপাতালের নিজের চেম্বারে ছিলেন। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, রাতের দিকে দুই যুবক হাসপাতালে আসে। তাদের একজন পায়ের আঙুলের ক্ষতস্থানের কথা বলে চিকিৎসার জন্য আসে। সেখানে তাদের পায়ের ক্ষতস্থানে নতুন ব্যান্ডেজ লাগানো হয়।
বাজেটে কাটছাঁট, পুজোতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি
চেম্বারে ঢুকে কি দেখেন?
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, অভিযুক্তরা প্রেসক্রিপশন পেতে জাভেদের চেম্বারে যেতে চায়। চেম্বারে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতালের দুই নার্সিং স্টাফ গজলা পরভিন এবং মহম্মদ কামিল গুলির শব্দ শুনতে পান। তারা দ্রুত চেম্বারে ঢুকে দেখেন, চিকিৎসক জাভেদের মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে।ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তরা চিকিৎসকের মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। চিকিৎসকের অল্প সময়ের মধ্যে বেশি রক্তপাতের কারণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে এবং মনে করছে, চিকিৎসককে খুন করার জন্য আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুঃ ‘আলু’র বিতর্কিত উপস্থিতি ডাক্তারদের মিছিলে
হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই দেশে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বর্তমানে, পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০টি দাবির ভিত্তিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। দিল্লির এই হত্যাকাণ্ড চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিকে আরও জোরদার করবে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বেড়ে গেছে।