ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:২০২৩ সালের অগস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দার নীচে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর ঘটনাটি রাজ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। অভিযোগ ছিল, ওই ছাত্র হস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন।এই ঘটনার মাঝে আলোচনায় উঠে আসে ‘আলু’ নামে পরিচিত অরিত্র মজুমদারের নাম। তিনি র্যাগিং কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছিল, যদিও পুলিশ তাকে অভিযুক্ত সাব্যস্ত করেনি। এই অরিত্রকে বুধবার দেখা যায় জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলে। তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হাঁটেন।
ইজরায়েলের পাশে আমেরিকাঃ তেল আভিভে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে নতুন উত্তেজনা
‘থ্রেট কালচার’
এদিনের মিছিলটি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে ডাক্তাররা প্রচলিত ‘থ্রেট কালচারের’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। যাদবপুরের অরিত্রও এই অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন মহলে তার বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল।ওই ঘটনার পর তিনি কলকাতা ছেড়ে চলে যান, ফলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তার জড়িত থাকার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।অরিত্র কেন ‘থ্রেট কালচারের’ বিরুদ্ধে ডাক্তারদের মিছিলে এসেছিলেন, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনার পর আমি অনেক মিছিলে হাঁটছি। এখানেও এসেছি, কিন্তু মিছিল নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না।” অরিত্র যে মিছিলে যোগ দিয়েছেন, তা জানেন না আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই। একজন অবাক হয়ে বলেন, “কে? কোথায় হাঁটছেন? এ বিষয়ে কিছু জানি না!” পরে তিনি বলেন, “বহু সাধারণ মানুষ আমাদের মিছিলে যোগ দিয়েছেন, সকলের পরিচয় জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।”
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার হত্যাঃ রহস্যময় ঘটনার খোঁজে সিবিআই
মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, “সে সময় আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ছেলেটির নাম শুনেছিলাম। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্ত করেছেন, কিন্তু কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। কত লোক যে মুখোশ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে!” যাদবপুরের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটিও অরিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, পাশাপাশি পুলিশও তাকে বেশ কয়েকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত অরিত্রকে অভিযুক্ত করা হয়নি।