ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেল, কিন্তু বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এখনও বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্না দিতে বসে আছেন। বুধবারের ঘটনার পর বৃহস্পতিবারও তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। রূপা অভিযোগ করেছেন, “পুলিশ অভিযুক্তদের পালাতে সাহায্য করেছে।” তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হচ্ছে, ততদিন তিনি থানায় বসে থাকবেন।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার হত্যাঃ রহস্যময় ঘটনার খোঁজে সিবিআই
রাস্তা সারাইয়ের কাজ
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক নবম শ্রেণির ছাত্র কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। সেখানে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। হঠাৎ একটি জেসিবি ওই ছাত্রকে ধাক্কা মারে এবং তিনি গাছের সঙ্গে পিষে যান। মাথায় গুরুতর আঘাত লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের দেখা মেলেনি। রাস্তার বেহাল দশার কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রাখা হয়। পরে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল ঘটনাস্থলে আসলে তিনি বিক্ষোভের মুখোমুখি হন। বিকেলে কলকাতা পুলিশের ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সেখানে ধরপাকড় শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের খোঁজে দিল্লি পুলিশের অভিযান
পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগে বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডলসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হন এবং রূপার নেতৃত্বে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। তাদের দাবি, কোনো অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবিকে আটক করা হয়েছে, কিন্তু ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।এই ঘটনার প্রতিবাদে বাঁশদ্রোণী থানা ঘেরাও করে বিজেপি। রূপা ঘোষণা করেছেন, “আমি রাতটা থানাতেই থাকব। সকাল থেকে অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে আমি আশা করছি, তারা দ্রুত ধরে ফেলবেন।”