ব্যুরো নিউজ,২ অক্টোবর:বিমানে বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য মানবিক ও শারীরিক সহায়তার অভাবের এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি, প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনারের সাথে এই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিবিসির জন্য যুদ্ধসংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করে থাকেন এবং দুই দশক আগে এক জঙ্গির গুলিতে হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারীঃ রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও মানুষের আশার প্রতীক
অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার এক্স হ্যান্ডেলে
ফ্র্যাঙ্ক এক্স হ্যান্ডেলে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই অপমানজনক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিমানের মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়ে শৌচালয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ বিমানে কোনও হুইল চেয়ার ছিল না। তার এক্স পোস্টে ছবিও রয়েছে, যেখানে তিনি নিজের অবস্থা বর্ণনা করেছেন, “ওয়াও! এটা ২০২৪, আর আমি এলওটি পোলিশ এয়ারলাইন্সের বিমানে শৌচালয়ে যেতে হামাগুড়ি দিচ্ছি!”বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের প্রতি এই বিমানের আচরণকে তীব্র সমালোচনা করেছেন ফ্র্যাঙ্ক। তিনি জানিয়েছেন, বিমান কর্মীরা তার সঙ্গে অত্যন্ত ভদ্র ব্যবহার করেছেন এবং বারবার ক্ষমা চেয়েছেন। তবে, তিনি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলেননি; বরং মূল দায় বিমান সংস্থার ওপর চাপিয়েছেন। তার মতে, এটি ২০২৪ সাল, অথচ বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
ইরানের হামলায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যঃ মোহনবাগানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
ফ্র্যাঙ্কের বক্তব্য, তিনি যখন বিমানে ছিলেন, তখন একটি বিমানকর্মীকে বলেছিলেন, “আমাকে শৌচালয়ে যেতে হবে। আপনি কি সাহায্য করতে পারবেন?” জবাবে বিমানকর্মী জানান, বিমানে হুইল চেয়ার নেই, তাই সাহায্য করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে, বাধ্য হয়ে ফ্র্যাঙ্ককে চিৎ হয়ে মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়ে শৌচালয়ে যেতে হয়।এটি প্রথমবার নয়, এর আগে হিথরো বিমানবন্দরে ফ্র্যাঙ্ককে দীর্ঘক্ষণ বিমানে বসে থাকতে হয়েছিল, কারণ বিমানকর্মীরা তার হুইল চেয়ার খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এই ধরনের ঘটনাগুলি স্পষ্ট করে দেয়, বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য বিমান সংস্থাগুলির কর্তব্য এবং সহানুভূতির কতটা অভাব।