ব্যুরো নিউজ,১ অক্টোবর:চন্দ্রভাগা নদীর জল ও আর এস পুরার মাটি মিলে গঠিত ‘খুশবুওয়ালা’ চাল সেদ্ধ হওয়ার সময় বাতাসে এক অদ্ভুত গন্ধ ছড়ায়। এই এলাকায় ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে, আশ্বিনের বাতাসে দিগন্ত পর্যন্ত ঢেউ খেলছে সবুজ শস্য। দক্ষিণ জম্মুর আর এস পুরা এবং সুচেতগড় এলাকায় কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। এখানকার মানুষ গুলি বর্ষণের মধ্যেও কৃষিকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইসলামাবাদে এসসিও বৈঠকঃবার্তা রাজনাথ সিংহের
জম্মুর ভাতের ভান্ডার
সরপঞ্চ যুগল কিশোর শর্মা জানান, “কোনও সময় গুলি বেশি হলে কৃষকরা মাঠে নামেন না, কিন্তু সব শান্ত হলে আবার কাজ শুরু করেন।” তিনি এও বলেন, এই গ্রামবাসীরা সীমান্তের আক্রমণের মুখে প্রথমে পড়েন, তাই তাদের কথায় ‘বিনা পয়সার সিপাহী’।কিন্তু সীমান্তের অস্থির পরিস্থিতির কারণে এখানকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা এবং সংস্কৃতির অভাব দেখা দিয়েছে। কৃষির সাথে যুক্ত কিছু যুবক সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। তবে অগ্নিবীর যোজনার কারণে সেনাবাহিনী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যার ফলে স্থানীয় যুবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।এই আবহে কংগ্রেস এবং এনসির প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা চলছে। বিজেপির জন্য বিরোধী ভোটব্যাঙ্ক ভাগ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায়, কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে, বিশেষ করে ছোট চাষিদের জন্য। তারা আধুনিক গুদামের সুবিধা পান না এবং বড় ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।সুচেতগড়ের কৃষক লাভা রামজি জানান, “ছোট চাষিরা জমি বেচে দিচ্ছেন অভাবের তাড়নায়, অন্যদিকে বড় চাষিদের ঘরে ধান পড়ে থাকে।” হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির জেতার সম্ভাবনা বেশি, যদিও স্থানীয় ক্ষোভও রয়েছে। বিজেপির প্রার্থী জগৎরাম ভগৎ প্রচারে ব্যস্ত, অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী ভূষণ ডোগরা শেষ মুহূর্তে নির্বাচন করেন।
সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ অক্টোবর
সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা বহু হিন্দুরা সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি সুবিধার দাবি জানাচ্ছেন। তবে, স্থানীয় জনগণের অধিকার এখনও মেলেনি। জমির মালিকানা সরকারের হলেও, চাষের অধিকার স্থানীয় কৃষকদের রয়েছে।