ব্যুরো নিউজ, ১ অক্টোবর :ভাগীরথী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে ২ হাজার বিঘারও বেশি চাষের জমি। নদী উপচে পড়ে চাষের বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র এখন জলমগ্ন, ফলে ধান ও পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা। পুজোর উৎসবের আগেই এই পরিস্থিতিতে চাষিদের আর্থিক লোকসান নিশ্চিত হয়েছে। জমির পাকা ধান কাটতে পারেননি তারা এবং জলমগ্ন হয়ে পচে গেছে পাট গাছ।
সরকারিভাবে সাহায্যের দাবি
কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের নদী পাড়ের কৃষকরা এই বিপর্যয়ের জন্য উদ্বিগ্ন। এই মরসুমে চাষের উপর নির্ভরশীল থাকা চাষিরা অনেকেই সমিতি বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন। এখন জমিতে কয়েক ফুট উচ্চতার জল, ফলে ধান ও পাট সবই জলের তলায় চলে গেছে। চাষিদের বক্তব্য, প্রতি বছরই তারা চাষ করে বন্যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু প্রশাসন কখনোই তাদের খোঁজ নেয়নি।
অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান জানান, অধিকাংশ চাষিরা ঋণ নিয়ে চাষ করেন। অথচ এখনও প্রশাসনের তরফে কোন অনুদান ঘোষণা করা হয়নি। এক চাষি বলেন, ‘আমাদের অবস্থা আর বলার মতো নেই। ঋণে চলি, আর এখন সেই ধার শোধ করতে না পারলে আমাদের আর কিছু করার নেই।’
চাষিরা সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। সমীর মণ্ডল, অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান, জানিয়েছেন, প্রশাসন দুর্গতদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তবে কার্যকরী পদক্ষেপ না হওয়ায় চাষিরা এখনও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, যদি যথাযথ সাহায্য না পাওয়া যায়, তবে আগামী দিনগুলোতে তাদের টিকে থাকা আরও কঠিন হবে।