ব্যুরো নিউজ ২৮ সেপ্টেম্বর: শিয়ালদহ-বজবজ শাখার বজবজ স্টেশনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার সদ্যোজাত সন্তানের দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় বৃহন্নলা। এই মানবিক উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় কাউন্সিলর কৌশিক রায়।
সদ্যোজাত শিশুর দেহ ভাসছিল কেষ্টপুর পুকুরে ! আতঙ্কে এলাকাবাসী
শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন
গত কিছুদিন ধরে, এক অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা স্টেশনের চত্বরে ঘুরছিলেন। তিনি এবং তাঁর মা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ঝুপড়িতে থাকতেন, যেখানে পথচলতি মানুষ ও ট্রেনযাত্রীরা তাঁদের থেকে টাকা চেয়ে দিন কাটাতেন। পূজালির বাসিন্দা কুণাল দলুই জানান, প্রথমে মহিলার আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়নি। কিন্তু একদিন তিনি স্টেশনে নগ্ন অবস্থায় ছটফট করতে দেখা পান। কাছে গিয়ে জানতে পারেন, ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা।সঙ্গে সঙ্গে মহিলা কে জামা কাপড় পরাতে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কৌশিক রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কৌশিকবাবুংকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মহিলার পরিচয়পত্র চাইছিলেন চিকিৎসকরা। এ কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। কৌশিক রায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যোগাযোগ করলে, সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।সর্বশেষ, বজবজ পুর হাসপাতালে ওই মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই, নিঃসন্তান বেশ কিছু দম্পতি ওই বাচ্চাটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু আপাতত, সদ্যোজাতটি এবং তার মা বৃহন্নলার কাছে আছেন।
নতুন অধ্যায়ের সূচনাঃ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু
উল্লেখ্য, মহিলার চিকিৎসার সমস্ত খরচ নিজেই বহন করেছেন বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত।এই মানবিক উদ্যোগ প্রমাণ করে, সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা এবং সহানুভূতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বৃহন্নলার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং আমাদের শেখায়, মানবিকতা সবসময় বড়।