ব্যুরো নিউজ, ২৭ সেপ্টেম্বর :আনোয়ার আলি এখন ফুটবল মহলে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি দিল্লি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে তার ইস্যু, আর এর মধ্যে আনোয়ার মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৪ অক্টোবর। হঠাৎ করে কেন এতদিন পিছিয়ে গেল? জানা গেছে, আনোয়ারের আইনজীবী পিঠের অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আর এজন্য তিনি ফেডারেশনের কোঅর্ডিনেটর মিহির খেরুদকে চিঠি দিয়েছেন।
বেআইনি বন্যপ্রাণী ব্যবহার মামলায় এলভিস যাদবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
আনোয়ার মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে,
আইফা ২০২৪: বিদেশে শুরু হচ্ছে বলিউডের জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব
গত কয়েক মাস ধরে আনোয়ারের নিয়ে আলোচনা চলছে। মোহনবাগানের সঙ্গে তার চার বছরের লোন চুক্তি থাকা সত্ত্বেও, আনোয়ার ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করে বিষয়টি জটিল করে তুলেছেন। এ বার শুনানির পথেও নতুন বাধা এসেছে। আনোয়ারের আইনজীবী জানিয়েছেন, ৮ অক্টোবর তার পিঠের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা, এবং চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে ৪ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে হবে। তাই তিনি নভেম্বরে মামলার শুনানির আবেদন করেছেন।
বৃষ্টির মধ্যে ছবির প্রচার করলেন অভিনেত্রী কৌশানী
ফেডারেশন ১৪ অক্টোবর বিকেল ৫টায় নতুন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে এবং এটি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে। যদি আনোয়ারের বর্তমান আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত থাকতে না পারেন, তাহলে তাকে বিকল্প আইনজীবীর ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আনোয়ার ইস্যুতে ভারতীয় ফুটবল মহলে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ট্রান্সফার নিয়ে নতুন করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। আগস্টের শুরুতে প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটি মোহনবাগানকে আনোয়ারকে ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করেন তিনি।
বেআইনি বন্যপ্রাণী ব্যবহার মামলায় এলভিস যাদবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
ঘটনাপ্রবাহ এখানেই থামেনি। সেপ্টেম্বরে ফেডারেশনের নতুন সিদ্ধান্ত আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। ফেডারেশন আনোয়ারকে ৪ মাস নির্বাসিত করেছে এবং ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসিকে ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি একসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে। এখন সকলের নজর পরবর্তী শুনানির দিকে। ফুটবল প্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, আনোয়ারের ভবিষ্যৎ কী হবে।