ব্যুরো নিউজ,২৫ সেপ্টেম্বর:সন্দীপ ঘোষ এবং তার ঘনিষ্ঠদের মোবাইল থেকে কিছু অডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে।এই ক্লিপ আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের মামলার সঙ্গে যুক্ত প্রমাণ হতে পারে বলে দাবি উঠছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাজেয়াপ্ত ডিভাইস থেকে পাওয়া একটি ক্লিপে সন্দীপকে অন্য একজনকে বলতে শোনা যায়, “মেয়েটা বড্ড বাড়াবাড়ি করছে।”
তৃণমূলের অবরোধের জেরে জঙ্গিপুরে কিশোরের মৃত্যু ; সাড়া দেয়নি পুরপ্রধান
হিমশৈলের চূড়া মাত্র
এছাড়াও, অভিযোগ উঠেছে যে আরজি কর হাসপাতালে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ এবং স্যালাইনের বোতল পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই দুর্নীতির ব্যাপারে নির্যাতিতা চিকিৎসক সচেতন ছিলেন, এবং এ কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে জোর জল্পনা চলছে।আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির এক নতুন অধ্যায় সামনে এসেছে। অনেকেই বলছেন, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়া মাত্র। রিপোর্টে জানা গেছে, নির্যাতিতা চিকিৎসক হাসপাতালে ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিযোগ, এই কারণেই তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ তাকে সরাসরি হুমকি দেন।সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্দীপ ঘোষের ঘরে গিয়ে নির্যাতিতা চিকিৎসক ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সময় সন্দীপ তাকে বলেন, “এত বেশি কথা বললে তোমার আর পাশ করা হয়ে উঠবে না।” এই কথোপকথনের সময় প্রিন্সিপালের ঘরে উপস্থিত ছিলেন আরজি কর হাসপাতালের দু’জন আধিকারিক, যারা পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন।
স্বপ্নের পেছনে লড়াইয়ের অসাধারণ কাহিনি দীপেন্দুর
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্যাতিতা চিকিৎসকের অভিযোগ সন্দীপ ঘোষের টেবিলে জমা হয়েছিল, কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং, এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক, লিভারের ওষুধ, স্নায়ুর ওষুধ এবং প্যারাসিটামল নিয়ে অভিযোগ জমা হয়েছিল, কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি সন্দীপ।সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে, যা তদন্তের দিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করছে। সিবিআই এর তদন্ত এগোচ্ছে এবং সমাজে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হচ্ছে।