ব্যুরো নিউজ,২৩ সেপ্টেম্বর:নবান্ন অভিযানের সময় ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। এই ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর, উন্নত চিকিৎসার জন্য দেবাশিসকে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়।দেবাশিস চক্রবর্তী, যিনি কলকাতা পুলিশের একজন পরিচিত মুখ, তার স্ত্রীও পুলিশে কর্মরত। নবান্ন অভিযানের দিন কর্তব্যরত থাকাকালীন স্ট্র্যান্ড রোডে পুলিশের গাড়ির লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সেই গাড়িতেই ছিলেন দেবাশিস। ইটটি সরাসরি তার চোখে লাগে, ফলে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ৮ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘোষণা
তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
গত ২৭ আগস্টের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা রবিবার দেবাশিসের বাড়িতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ডিসি এবং হাওড়ার পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। কমিশনার সেখানে গিয়ে দেবাশিসের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাকে আশ্বস্ত করেন।দেবাশিস হাসপাতাল থেকে ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘হঠাৎ করেই ইটবৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম ইটটি আমার চোখে এসে লাগে। অঝোরে রক্ত ঝরছিল এবং আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না।’ কিন্তু এখন তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উন্নতি হচ্ছে। একটু সময় লাগবে। আমি বিশ্বাস করি, কলকাতা পুলিশ এবং সবাই আমার পাশে আছেন, তাই আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠব।’
‘প্রতি রাতে কাঁদা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না’ অভিনেত্রী কণীনিকা কেন ?
হায়দরাবাদ থেকে চিকিৎসা করে ফিরে আসার পরেও দেবাশিসের বাড়িতে চলতে থাকে চিকিৎসা। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ‘দেবাশিস ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন।’এমন পরিস্থিতিতে দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, ‘আমি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছি। চিকিৎসকরা আশাবাদী।’ তার এই সাহসী মনোভাব সকলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে।