ব্যুরো নিউজ,১৮ সেপ্টেম্বর:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে কার্যবিবরণী সম্পন্ন হওয়ার পর, দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু আলোচনার বিষয় উঠে আসে। তবে সেসব বিষয় জনসমক্ষে আসেনি।বৈঠক শুরুর আগে ও চলাকালীন, জুনিয়র ডাক্তারদের চা পান করতে বলা হয়। কিন্তু তারা শিষ্টাচার বজায় রেখে জানিয়ে দেন যে, চা পান করা সম্ভব নয়। এ ঘটনা বৈঠকের একটি বিশেষ দিক। এই বৈঠকটি চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকবার আসন ছেড়ে উঠে যান। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, তিনি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের অপসারণ নিয়ে আলোচনা করতে ওঠেন।
সুপ্রিম কোর্টে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন: চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার নিয়ে প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ
ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতি হবে
বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুযায়ী, মোট নয়টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে প্রথম আটটি রাজ্য সরকারের খসড়া করা, এবং নবম বিষয়টি জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে। বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ডিসি (নর্থ) অভিষেক গুপ্ত এবং ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের পর জানান, স্বাস্থ্য দফতরে কর্মীদের একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল, আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার জন্য বিচার এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। বিশেষ করে ডিসি (নর্থ) অভিষেক গুপ্ত ও পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে। বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বিনীতকে সরানো হচ্ছে এবং মনোজ বর্মাকে নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
রূপচর্চায় ব্যয় না করে ত্বকের যত্ন নিন এই পানীয় দিয়ে
মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের পর বলেন, ‘‘আমি এতটা জানতাম না। জানলে এমন হতে দিতাম না।’’ এর ফলে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির প্রতি সরকারের মনোভাব ইতিবাচক বলে মনে হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া ৪২ জন জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধৈর্য সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং তাদের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।বৈঠকের কিছু অংশে আলোচনার তীব্রতা বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু মমতার নেতৃত্বে আলোচনা কখনও উত্তপ্ত হয়নি। বরং তিনি তাদের একযোগে কথা বলতে নিষেধ করে বলেন, ‘‘তোমরা এক এক করে বলো।’’ মুখ্যমন্ত্রী এখানে তার সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন।এভাবে, কালীঘাট বৈঠকটি শুধুমাত্র জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির দিকে আলোকপাত করেছিল না, বরং সরকারের প্রতি তাদের প্রত্যাশাও প্রকাশ পেয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত সবাই জানান, এই বৈঠকটি বেশ ফলপ্রসূ ছিল এবং তাদের আশা, ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতি হবে।