ব্যুরো নিউজ,১৭ সেপ্টেম্বর:আরজি কর হাসপাতালের মৃতা তরুণী চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান একসাথে তুলেছিল তারা। আর জি করের প্রতিবাদ কর্মসূচিতেই তাদের আলাপ-পরিচয় হয়েছিল।তারপর বন্ধুত্ব। সেই একসাথে করা সংগ্রামের সঙ্গীরই ফাঁদে পড়লো ১৯ বছরের এক তরুণী। মদ্যপ অবস্থায় ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় । ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহে।তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুরদহে।ধৃতদের নাম অর্ঘ্য দাস এবং শুভম ধর।ধৃত দুই যুবক বেলঘরিয়ার বাসিন্দা এবং নির্যাতিতার বাড়ি খরদহ থানার এম এস মুখার্জি রোডে।
তিন শহরে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ: শান্তির উৎসবে নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণ
ঘটনার সূত্রপাত
ঘটনাটির সূত্রপাত হয়েছিল মাসখানেক আগে। ওই দুজন আরজি কর হাসপাতালে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে একসাথে ন্যায়বিচারে নেমেছিলেন তা দুজনে। সেখানে ওই তরুণীর সাথে শুভমের পরিচয় হয় ।গলা মিলিয়ে একসাথে স্লোগানও তুলেছিল তারা ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’। তারপর ফেসবুকে দুজনের বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সেই বন্ধুত্বের সূত্রে শনিবার রাতে শুভম বন্ধু অর্ক দাসকে নিয়ে ওই তরুণীর বাড়িতে খড়দহে যায়। তরুণীটি অভিযোগ করেছে যে মদ্যপ অবস্থায় তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও করে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয় বলে অভিযোগ করে ওই তরুণী।
নিশ্চয়তা নিয়ে রাতের অন্ধকারে:মহিলা কর্মীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ফয়সালা
তারপর তারা ব্ল্যাকমেলের ভয়ে ঘরে বসে না থেকে নির্যাতিতা রবিবার খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।। সোমবার ধৃতদের ব্যারাকপুর মহাকুমা আদালতে পেশ করা হয় এবং তাদেরকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে খড়দহের বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক কৌশিক রায় বলেন ‘সমাজের পরিবর্তন আমাদের আন্দোলনের একটা অংশ। তবুও এইরকম জঘন্য ঘটনা থামছে না। এদিনও একটি কেসের মেডিকেল করলাম। মানুষের বিবেক জাগ্রত হওয়ার প্রয়োজন আছে।’