ব্যুরো নিউজ,১৪ সেপ্টেম্বর:বৃহস্পতিবার, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের নবান্নে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ৩২ জন প্রতিনিধি সেখানে গিয়েছিলেন, কিন্তু বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবি থাকলেও সরকার তাতে রাজি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রায় দু’ঘণ্টা বসেছিলেন, কিন্তু কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি।এর মাত্র দুদিন পর, শনিবার দুপুরে, মুখ্যমন্ত্রী আচমকা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে উপস্থিত হন। সেখানে জুনিয়র ডাক্তাররা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসে ছিলেন। মমতার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও।
মিশরের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় তেজস ও ধ্রুব: ভারতের সাথে সম্ভাব্য চুক্তির আলোচনা
অপ্রত্যাশিত আগমনের কারণ কি?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে, সমস্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি নতুন করে গঠিত হবে। এতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স এবং পুলিশ সবাই থাকবন। তিনি ডাক্তারদের কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, “আপনারা কাজে ফিরুন। আমি কোনো ডাক্তারকে শাস্তি দেব না। আমি জানি, আপনারা মহৎ কাজ করেন।”মমতা জানান, নিরাপত্তার কারণে নানা বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি বলেন, “আপনারা যে ভাবে বসে আছেন, আমার কষ্ট হচ্ছে। রাতের পর রাত আমি ঘুমোইনি। আপনাদের আন্দোলনে আমি সহানুভূতি জানাই। আপনারা ধৈর্য্য ধরে আমার কথা শুনুন। এরপর স্লোগান দিন, সেটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার।”
চিনে স্কুল প্রিন্সিপালের চাকরি চলে গেল একটি চকোলেটের জন্য !
মুখ্যমন্ত্রীর এই উপস্থিতি ও ঘোষণার পরও ধর্নাস্থলে বিচারের দাবিতে স্লোগান ওঠে। বেশ কয়েক মিনিট মাইক হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাকে।প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবি সরকার মেনে না নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিতভাবে ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে পৌঁছে যাওয়া আসলে কিসের ইঙ্গিত বহন করছে?