chief-secretary-appeal-doctors

ব্যুরো নিউজ,১১ সেপ্টেম্বর: মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি চিকিৎসকদের কাজ শুরু করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের পথ খোলা রেখেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার সময় ১২-১৫ জন প্রতিনিধিকে নবান্নে আসতে বলা হয়েছে, যাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যায়।

ল্যাপটপ গরম হয়ে যাছে ? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান 

গতকাল, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা করার জন্য একটি ইমেল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ইমেলের ভাষা চিকিৎসকদের অপমানজনক মনে হয়েছে এবং তারা দাবি করেছেন যে,যার অপসারণের দাবি করা হচ্ছে সেই আধিকারিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত ইমেল আলোচনা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে, গত ২৪ ঘণ্টায়ও স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিবের পাঠানো ইমেলকে চিকিৎসকরা গুরুত্ব দেননি। তাদের মতামত ছিল যে, তাদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ওই ইমেল একটি যথাযথ সমাধান আনার পক্ষে নয়। পরবর্তীতে, বুধবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা উল্লেখ করে। শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে চিকিৎসকদের কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু আন্দোলনকারীরা সেই নির্দেশ মেনে চলেনি।মুখ্যসচিব চিঠিতে পুনরায় চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে আবেদন জানিয়ে বলেছেন যে, সমস্যার সমাধানে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে। তবে, আলোচনায় তাদের দাবিগুলি কতটা মানা হবে তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।

মেডিকেলে দুর্নীতির চক্র: বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের টাকার লেনদেনে জলঙ্গির ছাত্রের অভিযোগ

এদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যশিক্ষা মন্ত্রী কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদারের পদত্যাগের দাবিতে অনড়। তাদের দাবি, এই পদত্যাগ ছাড়া আন্দোলন শেষ হবে না। তারা বলছেন যে, এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের এবং তাদের পদত্যাগ ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।চিকিৎসকদের আন্দোলন রাজ্য প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে জনসাধারণের মধ্যে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যসচিবের চিঠি একটি ধৈর্যের সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা প্রশাসনের ও চিকিৎসকদের মধ্যে এক নতুন সমঝোতার সূচনা করতে পারে। কিন্তু, চিকিৎসকদের দাবির প্রতি রাজ্য সরকারের সদয় মনোভাব ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন, যাতে এই সংকটময় পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান সম্ভব হয়।এখন দেখা যাচ্ছে, রাজ্য প্রশাসন চিকিৎসকদের কাজ শুরু করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছে, তবে চিকিৎসকদের প্রতিরোধ ও দাবির বাস্তবতা বিবেচনায় কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তা ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর