ব্যুরো নিউজ,৫ সেপ্টেম্বর: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে “রাত দখলে” সামিল হয়েছিল গোটা রাজ্যবাসী ।জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ চলল গোটা রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ। এবং তার মধ্যেই একটা গা শিউরে ওঠা ঘটনা ঘটে গেল কোচবিহারের মাথাভাঙায়। কি হয়েছিল মাথাভাঙ্গায়? ৪ সেপ্টেম্বর রাতে কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রতিবাদে নেমেছিলেন শিল্পী থেকে সাহিত্যিকরা। রাস্তায় লেখা হয়েছিল justice for Rg Kar .প্রতিবাদ চলাকালীন হঠাৎ করেই প্রতিবাদীদের উপর হামলা চালালো তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে আন্দোলন রুখতে প্রতিবাদকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতারা। যারা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। একজন বাম কর্মী যিনি নিজে একজন চিত্রশিল্পী তাকে রীতিমতো মারধর করা হয় , তার সঙ্গে চলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। ওই প্রতিবাদটি হয়েছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবেই। রাজপথে তারা আলপনা দিয়েছিলেন এবং লিখেছিলেন জাস্টিস ফর আরজি কর। তৃণমূল নেতারা সেই লেখা মুছে দিয়ে চরম দাদাগিরির নমুনা দেখায় তারা। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ কোচবিহারের ওই প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। তাহলে কি ওই নেতার উস্কানিতেই চলল হামলা ? নেতাদের নির্দেশেই কি আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হলো? যারা এই হামলা চালালো তাদেরকে কি গ্রেপ্তার করবে পুলিশ?
প্রধান বিচারপতির শুধুই কি অসুস্থতা? নাকি অন্য কোন কারন?
“দফা এক দাবি এক মমতার পদত্যাগ”
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলেন যে অরাজনৈতিক ব্যানারের পেছনে রাজনীতি করছে আন্দোলনকারীরা। এর পেছনে বিজেপি এবং সিপিএমের কারসাজি রয়েছে । ওরা আসলে জাস্টিস চাইছে না ,চাইছে মমতার পদত্যাগ অর্থাৎ পেছন থেকে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চলছে । সেই জন্যই আমরা চক্রান্ত এই চক্রান্ত রোখার চেষ্টা করছি. মারধরের প্রসঙ্গে এবং স্লোগান মোছার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে এমন কিছুই সেখানে ঘটে ঘটেনি।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাথাভাঙ্গার এই ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন বিজেপি সারা বছর ধরেই তৃণমূলের কাছে আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে ভোটের আগে।কিন্তু এবার তৃণমূল রাজ্যের সাধারণ মানুষদেরও আক্রমণ করতে ছাড়লো না।
বিধানসভায় আগুন ঝরানো প্রতিবাদ শুভেন্দুর
মাথা ভাঙ্গায় যে বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটে গেল তা রাজ্যবাসী দেখেছে । তাতে তিনি একটা কথাই বলেছেন ছি মমতা ! ছি মমতা! তিনি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত দায়ভার মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত । ঘটনাটি মাথাভাঙ্গা ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে on camera ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা কোন রাজনৈতিক ব্যানারের তলায় আন্দোলন করেননি। তাদের কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল না । তা সত্ত্বেও তাদের উপর আক্রমণ করা হলো । এবং সবচেয়ে বড় লজ্জাজনক বিষয় এটাই , ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে পুলিশ থানা থাকা সত্ত্বেও থানার আই সি হেমন্ত শর্মা ঘটনাস্থলে আসেননি এবং কোন অ্যাকশন ও নেননি। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি)আন্দোলন করবে। শুভেন্দুর মতে জনগণের আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। মানুষের এই আন্দোলনের ভয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালানো হচ্ছে যাতে আন্দোলন রোখা চায়। শুভেন্দু অধিকারী সবাইকে আহ্বান করেছেন নেতাজির পথ ধরে আন্দোলন করতে এবং একটাই দাবি “দফা এক দাবি এক মমতার পদত্যাগ”।