nabanna abhijan bengal

ব্যুরো নিউজ,৩ সেপ্টেম্বর: নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। আর তার কনভেনার সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেপ্তার করেছিল রাজ্যের পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের কনভেনার সায়নকে গ্রেপ্তারের পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সায়নকে মুক্তি দেওয়া হয়। আর তারপরেই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

RSS: রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি বাংলায়! সঙ্ঘ পরিবার কি জানালো?

কি নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের?

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সায়নের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। হাইকোর্টে বিচারপতি সিনহার এজলাসে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল না। পাশাপাশি সায়নের গ্রেফতারের পক্ষে প্রভাবশালী তত্ত্ব আওড়ান রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতির সিনহার প্রশ্ন ছিল, সায়ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা? কেন প্রভাবশালী বলা হচ্ছে? সেই জায়গায় রাজ্য সরকারের যুক্তি ধোপে টেকে নি কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্ট সায়ন লাহিড়ীকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ মতো শনিবার দুপুরেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান সায়ন। আর তারপরেই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।

CBI: শিক্ষা, খাদ‍্যে দুর্নীতিতে জেলে পার্থ, বালু!স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে কি করবে সিবিআই?

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেবি পাদ্রীওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে সায়নের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করায় রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পাদ্রীওয়ালার প্রশ্ন, ১০০ জনের মধ্যে ওই ছাত্রনেতাকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করল? ওই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য জানায়, সায়নের বিরুদ্ধে ১১ টি এফ আই আর দায়ের হয়েছে। নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের তরফে বহু যুক্তি সাজানো হলেও সুপ্রিম কোর্ট কোনো সায় দেয়নি। বিচারপতি পাদ্রীওয়ালা বলেন, প্রথমে নগরদায়রা আদালত এবং পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে পারতেন ওই ছাত্রনেতা। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রইল দেশের শীর্ষ আদালতে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর