ব্যুরো নিউজ,১ সেপ্টেম্বর: আর জি কর হাসপাতালে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে অগাস্ট মাসে। অগাস্ট মাস পেরিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে পড়ল ওই নৃশংস ঘটনাটি। অর্থাৎ কেটে গিয়েছে তিন তিনটে সপ্তাহ। এখনো পর্যন্ত দোষীদের ধরা যায়নি। ইতিমধ্যেই তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই মৃতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবার থেকে সারা রাজ্যবাসি। নির্যাতিতার মা সংশয় প্রকাশ “করছেন সুবিচার মিলবে তো?” তার কথায় “এক একটা করে দিন চলে যাচ্ছে। জানিনা এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে”।
৫ তারিখে সুপ্রিমে সিবিআই, ভালো কিছু রিপোর্ট দেবে সিবিআই , দাবি ডাক্তারদের
ক্রাইমসিনের ভিড়ের ভিডিও তে কাকে দেখা গিয়েছে?
নির্যাতিতা তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার দিন অর্থাৎ যেদিন ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হলো সেদিনের সিজারলিস্ট তৈরি নিয়েও অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন নির্যাতিতার মা। তার কথায় তড়িঘড়ি করে কেন মেয়ের দেহ সৎকার করা হলো? তাহলে কি প্রমাণ লোপাট এর জন্যই তাড়াতাড়ি দেহ সৎকার?প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার মা। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন “ওই লাল টি-শার্ট পরা সন্দেহজনক ছেলেটি কে? সেদিন যখন সিজারলিস্ট তৈরি হচ্ছিল তখন লাল টি-শার্ট পরা একটি ছেলেকে আমি বারেবারে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখেছি। ও কিছু একটা খুঁজছিল। সন্দেহজনক অবস্থায় দেখেছিলাম। পরে জানতে পারি ওই ছেলেটি নাকি হাসপাতালের ডি গ্রুপের স্টাফ”।
নির্যাতিতার মা আরো জানান “হাসপাতালের মধ্যে অন ডিউটিতে থাকা একজন চিকিৎসককে খুন করা হলো। অথচ সেখানে প্রমাণ রক্ষার বদলে তার লোপাটের নানা অভিযোগ সামনে আসছে। সুপ্রিমকোর্ট তো ক্রাইম সিন সুরক্ষিত না রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।”
প্রতিবাদের ভয়ে গুটিয়ে মমতার সরকার?শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানও স্থগিত
প্রসঙ্গত ওই মৃতা তরুণী চিকিৎসকের বাড়ির লোককে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রথমে অসুস্থ বলে জানানো হয়, তারপর আবার ফোন করে জানানো হয় তরুণী চিকিৎসক গুরুতর অসুস্থ, শেষে ফোন করে বলা হয় তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। প্রত্যেকবার মিথ্যা কথা বলা হয়েছে নির্যাতিতার বাড়ির লোককে। সত্যতা গোপন করা হয়েছে প্রত্যেকবার। ইতিমধ্যে ক্রাইমসিনের ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ওই ক্রাইমসিনের ভিডিওটিতে ভিড়ের মধ্যে দেখা গিয়েছে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের কর্তা দেবাশিস সোমকে। তিনি এখন সিবিআই তদন্তের স্ক্যানারে। আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী সান্তনু দে কেও ওই ক্রাইম সিন এর ভিডিওয় দেখা গিয়েছে। সন্দীপ ঘোষের আর একজন ছায়া সঙ্গী প্রসূন চট্টোপাধ্যায় কেও ওই ক্রাইম ভিডিওতে দেখা গিয়েছে।নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা এবার সিজার লিস্ট তৈরির সময় সন্দেহজনক ওই লাল টি-শার্ট পরা ছেলেটির উপস্থিতির অভিযোগ আনলেন।