ব্যুরো নিউজ,২৮ আগস্ট: দিনের শুরুতেই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও দেখা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে প্রচুর বিজেপি সমর্থকের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। নবান্ন অভিযানে পুলিশি অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির তরফে ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর সেই বনধ সফল করতে শুভেন্দুর নেতৃত্বে নন্দীগ্রামে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ মিছিল।
বুধেই জেলমুক্তি!দুর্নীতি কান্ডে ইডির মামলায় প্রথম জামিন ৩ জনের
বিজেপি-তৃণমূল খন্ডযুদ্ধ
ঘাড়ে পতাকা নিয়ে মুখে একটাই স্লোগান দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগ.. আর এই স্লোগান নিয়েই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে বনধ পালনে এলাকার মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন তিনি। নন্দীগ্রামের বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে এই মিছিল নন্দীগ্রামসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পরিক্রমা করবে। সেখানে শুভেন্দুর মিছিলে বিজেপি সমর্থকদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামে বনধ পালনের কর্মসূচি শেষ করে শুভেন্দু অধিকারী চলে আসতে পারেন কলকাতায় এবং সেখানেও বাংলা বনধের সমর্থনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন তিনি। এদিকে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
হার্টবিট, পালস রেটে বদল..ধৃত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টে চমকে দেওয়া তথ্য
দোকানপাট গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বাংলা বনধের সমর্থনে বিজেপির সমর্থকরা রাস্তায় নামতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও পাল্টা ময়দানে নেমে পড়েছে। একাধিক জায়গায় দুই দলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি মারপিট হতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ মাঝখানে দাঁড়িয়ে সব জায়গাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কলকাতার মুচিপাড়ায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষের সামনেই তৃণমূল- বিজেপি দুই দলের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। পুলিশের সামনেই দুই পক্ষ হাতাহাতি বচসায় জড়িয়ে পড়ে। লড়াই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জেলা সদরেও। বারাসাতে বনধ সমর্থকরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। আর এইদিনই রয়েছে কলকাতার মেয়ো রোডে টিএমসিপি-র ছাত্র সমাবেশ। সেই সমাবেশের উদ্দেশ্যে বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে।