ব্যুরো নিউজ,২৪ আগস্ট:বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ, মহিলা, পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধবণিতা আরজিকর হাসপাতালে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিল আন্দোলন করছেন। এবার আরজিকর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে পথে নামতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রতিবাদ আন্দোলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মহাভারতের মিশেল দিতে চাইছে।
কলকাতার নাকাল ২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে
প্রতিবাদে কী পরিকল্পনা পরিষদের?
তোলাবাজিতে ধৃত উত্তরবঙ্গে ট্রেড ইউনিয়ান নেতার ছেলে
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এবার ৬০ তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালে জন্মাষ্টমীর দিনেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সূচনা হয়। তাই সোমবার জন্মাষ্টমী তিথিতে পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে বাংলায় যে প্রতিবাদ আন্দোলনের ধারা চলছে, তাতেই সাংগঠনিক প্রচারের কর্মসূচির বদলে অন্য মিছিল সংগঠিত করতে চলেছে পরিষদ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছোটদের ‘কৃষ্ণ’ সাজিয়ে ‘বিচার চাই’ দাবি নিয়ে মিছিল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে ব্রজরূপী কৃষ্ণ নন। ইনি হলেন কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণ। বীর এবং নারীর সম্ভ্রম রক্ষাকারী যে কৃষ্ণের এক হাতে আছে সুদর্শন চক্র এবং অন্য হাতে থাকছে পাঞ্চজন্য শঙ্খ।
হাওড়া থেকে তারকেশ্বর লাইনের ট্রেনে ফের আগুনে আতঙ্ক
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরজিকরের ঘটনায় প্রতিবাদ আন্দোলনকে জাতীয় চেহারায় নিয়ে যেতে চায় তারা। সব রাজ্যে জন্মাষ্টমীর দিন কৃষ্ণ সাজো কর্মসূচি পালন করা হবে। এক সপ্তাহ ধরে চলবে প্রতিষ্ঠার হীরক জয়ন্তী পালন। ২৯ আগস্ট নারী সশক্তিকরনের প্রচার হিসেবে রাখা হয়েছে। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শচীন্দ্রনাথ সিং শনিবার বলেন, দেশ জুড়ে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ পর্যন্ত বহু কর্মসূচি রয়েছে। ধর্মরক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণের আহ্বান দরকার। সাধারণ মানুষের আন্দোলনে তার শক্তি প্রয়োজন। মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা হলে তিনি সহায় হয়েছিলেন। তাই নারীর সম্ভ্রম রক্ষার জন্য চাই জনতারুপী শ্রীকৃষ্ণকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাধাকান্ত কৃষ্ণ নয়, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনকে পথ দেখানো কৃষ্ণের প্রয়োজন। তার সাধনা করতে হবে। এটাই আমরা বলতে চাই। পাশাপাশি, শচীন্দ্রনাথের কথায়, সারদামায়ের বাংলা এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সময়ে কিভাবে নারী নির্যাতনের নরক হয়ে উঠেছে, সারা দেশকে জানাতে চাই। তাই ‘সম্ভবামি যুগে যুগে’ মন্ত্র নিয়েই আমরা ধর্মস্থাপনার আন্দোলন চাই। যেখানে নারীর উপর নির্যাতন, অসম্মান বন্ধ হবে।