ব্যুরো নিউজ,২৩ আগস্ট: প্রত্যেক ঘরে ঘরেই প্রায় ইউরিক এসিডের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এই রোগ যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে প্রথম থেকে সাবধান না হলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড শরীরে থাকবে সেটা নির্ভর করে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাক হারের উপর। ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলেও ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে আয়ুর্বেদে কিছু এমন খাবার বা পানীয় আছে যা আপনি নিয়ম মতন খেলে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
কেন্দ্র বন্ধ করল বিদ্যুৎ আধুনিকীকরণের টাকা
ইউরিক অ্যাসিড কমানোর উপায়
ইউরিক এসিড কমানোর খাদ্য তালিকায় প্রথমেই যার নাম আসে সেটি হল হলুদ-দুধ। হলুদের রয়েছে প্রদাহ নাশকারি ক্ষমতা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সকালবেলা খালি পেটে এক গ্লাস গরম দুধে আধ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে আপনার ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ইউরিক এসিড কমানোর বা নিয়ন্ত্রণে রাখার আরো একটি পানীয় নাম হল আদা-চা। আদা তেও আছে প্রদাহ নার্সারি ক্ষমতা যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। জলে কয়েক টুকরো আদা ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন তারপর সেটিকে ছেঁকে সকালবেলায় খালি পেটে খান। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অপর আরেকটি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার পানীয় হলো মৌরি ভেজানো জল। এক চামচ মৌরি সারারাত এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সেই মৌরি ভেজানো জল ছেঁকে পান করুন।
ভারতের সবচেয়ে নোংরা রেল স্টেশন গুলির নাম জানেন? দেখে নিন তালিকা
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হল অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। এই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ইউরিক অ্যাসিড ভেঙ্গে দিতে সাহায্য করে। সকালবেলা ব্রেকফাস্ট এর আগে এক গ্লাস জলে দু চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। ইউরিক এসিডের অভ্যর্থ পানীয় এটি।
লেবু শরীরের জন্য কতটা উপকারী এটা আমরা সবাই জানি। ইউরিক এসিডের যম হলো লেবু জল। লেবুর তে থাকে ভিটামিন সি যা ইউরিক এসিডের ক্রিস্টাল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস ইসদউষ্ণ গরম জলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।