ব্যুরো নিউজ,২০ আগস্ট: তৃণমূলের তরফে সংবাদ মাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব পালন করতো সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিট এর দপ্তর। জাতীয় বা রাজ্য স্তরে যে কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সংবাদ মাধ্যমের বিতর্কসভায় কোন মুখপাত্র যাবেন, কি বিষয়ে কথা বলবেন, কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবেন, সমস্তটাই পরিচালিত হতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অফিস থেকে। এবার সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরজিকর কাণ্ডের পরিস্থিতিতে অভিষেকের দপ্তর সেই দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে।
তাহলে এবার মুখপাত্র হিসেবে কারা দায়িত্ব পেলেন?
এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে দলের তরফে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলবেন কারা? মিডিয়া ব্রিফিং এর দায়িত্ব নেবেন কারা? এবার তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী একটি মিডিয়া কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটিতে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুনাল ঘোষ এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। দলের বিভিন্ন বিষয়ে মুখপাত্ররা কোন অভিমুখে কথা বলবেন, সংবাদ মাধ্যমের আলোচনা সভায় কারা যাবেন, তা নিয়ে এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, মমতা ব্যানার্জি পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করবেন। প্রয়োজনে মুখপাত্রদের জন্য এবার কর্মশালাও করা হতে পারে।
Rg Kar Case :হাইকোর্টের ভিতরেই সায়ন বনাম কল্যাণের তুমুল বিতন্ডা, চমকে গেলেন বিচারপ্রার্থীরা
দলের ‘পার্টি লাইন’ কি হবে? সেটা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই জনগণের সামনে তার নির্দিষ্ট অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়। ফলে সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্ররা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বিতর্ক সভা থেকে ইন্টারভিউ, কোথায়, কিভাবে সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনায় অংশ নেবেন, সেটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এবার তৃণমূলের তরফে অভিষেকের দপ্তর সেইভাবেই কাজ শুরু করেছিল। অনেকটা সিপিএমের ধাঁচে যাতে পলিটব্যুরো থেকে এরিয়া কমিটি পর্যন্ত যেরকম সিপিএমের বয়ান এক হয়, সেরকম ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস একই পদ্ধতি অনুসরণ করে। তবে আরজিকর কাণ্ডের পর দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি অসন্তুষ্ট? কারণ সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব সামলানোর এই কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে তার অফিস। আর তারপরেই দেখা গেল, মমতার নির্দেশ এই নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।