ব্যুরো নিউজ,১৯ আগস্ট: দেশ জুড়ে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে চাপে একেবারে কোণঠাসা মমতার সরকার। যতই পুলিশ দিয়ে দমনপীড়নের চেষ্টা শুরু হয়েছে, ততই যেন প্রতিবাদের আগুন আরও ঝলসে উঠছে। একের পর এক শ্যামবাজার, বেলগাছিয়া সংলগ্ন বহু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করে সমস্ত সমাবেশ জমায়েতের উপর আন্দোলন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার উপরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রবিবাসরীয় ডার্বি ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
Rg kar Case : আরজি কর মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, স্বত:প্রণোদিত মামলা গ্রহণ করলেন চন্দ্রচূড়
এরপর একসঙ্গে তিন ফুটবল ক্লাবের সমর্থকরা:
এবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেলবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান সমর্থকদের ভিড়ে উত্তাল হয়ে উঠল সল্টলেক সংলগ্ন এলাকা। বিধাননগর পুলিশের তরফে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যখন প্রথম দিকে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সমর্থকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন তাদের লাঠি উচিয়ে সরিয়ে দিচ্ছিল পুলিশ। ধীরে ধীরে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান তিনটি ফুটবল ক্লাব একত্রিত হয়ে যায়। তার সমর্থকরা একযোগে আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠেন। আরজি করে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন। যুবভারতীতে পাশাপাশি উড়তে দেখা গেল লাল হলুদ আর সবুজ মেরুন পতাকা। প্রত্যেকের কন্ঠে একই স্লোগান- “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”
দিল্লিতে বৈঠক বিজেপির, আরজি কর ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ, গুরুদায়িত্বে শমীক
সময় যতই গড়াতে থাকে ধীরে ধীরে পুলিশকেও পিছু হটতে হয়। কারণ ফুটবল এর দুনিয়ায় কলকাতার এই তিন বিখ্যাত ক্লাবের সমর্থকরা এক হয়ে যান এবং একযোগে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগানিং করতে থাকেন। প্রথম দিকে পুলিশ এগোতে শুরু করলেও ধীরে ধীরে পিছু হঠতে শুরু করে। আর এর মধ্যেই একটি ভাইরাল অডিওতে শোনা যায়। বিধাননগর সাউথ থানা থেকে কোনো এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে বলা হচ্ছে যাতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তারা না আসে। (যদিও সেই ভাইরাল অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইভিএম নিউজ) তবে এদিন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান তিন প্রধান ক্লাবের সমর্থকদের একযোগে প্রতিবাদ দেখিয়ে দিল বাংলা সহ দেশজুড়ে মানুষের একটাই দাবি, তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে, বিচার চাই।