rg kar case tmc photo

ব্যুরো নিউজ,১৮ আগস্ট:১৪ই আগস্ট মধ্যরাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি চলাকালীন ঠিক সেই সময়ে আরজি কর হাসপাতালে একদল দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়। এর ফলে হাসপাতালের বহু মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরে জানা যায়, ওই দুষ্কৃতীদের একটি দল সেমিনার রুমের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। যদিও সেখানে তারা যেতে পারেনি। এবার ১৪ তারিখে আরজি করের এই হামলা চালানো প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করছেন, ওই দুষ্কৃতীরা নাকি আদতে বাম- রাম জোটের।

RG Kar case:মেয়েকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কারা জড়িত..সিবিআইকে যা বলেছেন মৃতার বাবা

আসলে ঘটনায় ধৃতরা কোন রাজনৈতিক দলের?

RG Kar case:মুখ খুললেই ট্রান্সফার?একধাক্কায় ৪৩ চিকিৎসক বদলির নির্দেশ, মমতার নিন্দায় সরব সংগঠন

সাংবাদিকদের ভিডিও দেখিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল দাবি করেছিলেন, বামেদের পতাকা হাতে হামলাকারীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের দেখা গিয়েছে। তবে যদিও ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩০ জন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের হাতে আরজিকর কাণ্ডে ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে রাজনৈতিক পরিচয় জানার চেষ্টা করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ধৃত সৌমিক দাসের কাকিমা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, সে তৃণমূল কংগ্রেস করে। শুধু সে একা নয়, তার সঙ্গে জিমের আরো অনেকেই আরজি করে ওই রাতে গিয়েছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর দাবি করেন, তিনি সৌমিককে চেনেন না। তার কথায়, এখন তো সবাই তৃণমূল সমর্থক।

Rg kar case:”এদের সঙ্গে দেখা হলে ডাক্তার বোনটির আত্মা কষ্ট পেতো”আপসহীন লড়াইয়ে শুভেন্দু

ধৃতদের মধ্যে পুলিশের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জব্বর আনসারী নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে। সেখানে ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, জব্বরের বোন জোরালো দাবি করেছেন, দাদা সহ তার পরিবারের সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত এবং সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করেন। আরজি কর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই থাকেন ঋষিকান্ত মিশ্র। তাকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার দাদা আবার দাবি করেছেন, তিনি তৃণমূল কর্মী। এখানেই শেষ নয়, ধৃত তৌসিফের প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন,সে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। আবার আরজি কর ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত শুভদীপ কুন্ডুর মা বলেছে, ও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নেই। মোবাইলে ভিডিও করছিল। ভাঙচুর করেনি। গ্রেফতারির পর স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে শুভদীপের মা সাহায্য চাইতে গেলেও তিনি সাহায্য করতে অস্বীকার করেন, এরকমটাই জানা গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই বেহালা থেকে ২ এসএফআই নেতাকে কলকাতা পুলিশ আটক করেছে। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, তারা কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য। দমদমের এক তরুণ বাম নেতাকেও নাকি জেরা করেছে কলকাতা পুলিশ অফিসাররা।

মাঙ্কি পক্স নিয়ে গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষনা করল WHO

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরজি কর হামলার ঘটনায় বামেরা জড়িত নয় বলে দাবি করেন। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ সিপিএমের কয়েকটা ছেলেকে ধরেছে। মমতা বলেছে বলেই ধরছে। আমি জানি ওখানে অতীনের ছেলেরা সব করেছে। তৃণমূল এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত, বামেরা নয়। ফলে আরজি কর হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বাম- রামের জোটের তত্ত্ব তুলে ধরলেও আদতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বহু কর্মী পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর