abhishek in parlament

ব্যুরো নিউজ,২আগস্ট: সংসদে আগের তুলনায় অনেকটাই ঝাঁঝালো দেখাচ্ছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাজেট অধিবেশনে বাজেটের উপর বক্তৃতা করতে গিয়ে তাকে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অনেকেই বলছেন, গত ১০ বছরে তাকে কখনোই এই ভূমিকায় দেখা যায়নি। ২০১৪ সাল থেকে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা আসনে তিনি পরপর জিতে এসেছেন। কিন্তু এর আগে সংসদে অভিষেকের উপস্থিতির হার ছিল একেবারেই কম। এবার সেখানে দেখা যাচ্ছে উপস্থিতি তো রয়েইছে বরং সংসদের ভিতরে বোঝাই যায়না, তৃণমূলের দলনেতা কে? এমনটাই বলতে চাইছেন তৃণমূলের নতুন তরুণ সাংসদরা। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যসভায় ডেরেক ওব্রায়েন। কিন্তু অভিষেক এতটাই সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তীব্র স্বরে আক্রমণ চড়াচ্ছেন, তাতে তৃণমূলের অনেকেও বেশ কিছুটা ধন্দে পড়ে গিয়েছেন।

রেশন দুর্নীতিতে নয়া মোড়, গভীর রাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা, আরো কারা ইডির নজরে?

অভিষেকের আগ্রাসী হওয়ার নেপথ্যে কি কারণ?

কিন্তু কেন হঠাৎ অভিষেকের এত আগ্রাসী মনোভাব? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, স্পিকার নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া একতরফা সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তার সঙ্গে স্পিকার নির্বাচন ধ্বনি ভোটে নেওয়া হয়েছে বলেও সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। এক দিক থেকে বলা যেতে পারে, বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার মধ্যে কংগ্রেসের নেতাগিরি চলবে না, সেটাই বোঝাতে চাইছেন তিনি। কারণ কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের সবথেকে বড় শরিক। আবার অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় তৃণমূলকে প্রাসঙ্গিক করে রাখার জন্য অভিষেকের এই চেষ্টা, এরকমটাই মনে করা হচ্ছে। এরপরেও রয়েছে আরও একটি কারণ।

ইডি দিল্লিতে ডাকতেই ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক,কী নির্দেশ শীর্ষ আদালতের?

অভিষেকের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক অভিযোগে মামলা চলছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো লিপস এন্ড বাউন্স মামলায় ইতিমধ্যেই অভিষেককে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোটা অংকের টাকা। এবার ইডির তরফে অভিষেককে জেরা করতে চেয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কারণে অভিষেক ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলী দীর্ণ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিরোধীরাও সুর চড়াচ্ছেন। লোকসভা ভোটে ২৯ টি আসনে সাদা চোখে জয় দেখতে পেলেও প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট বিরোধীদল বিজেপি তুলে নিয়েছে। ফলে সঠিক নির্বাচনী ফর্মুলা বা স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করলে শাসক তৃণমূলকে যে টলিয়ে দেওয়া যেতে পারে সেটাও কিন্তু অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তাই একদিকে জাতীয় রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা, অপরদিকে একাধিক মামলায় ই ডি, সি বি আই এর সক্রিয়তা অভিষেককে যথেষ্ট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। আর সেই পরিস্থিতি থেকেই মনে করা হচ্ছে, সংসদে দাঁড়িয়ে এতটা আগ্রাসন দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে। এবার দেখার বিষয়, আগামী দিনে এই রাজনীতির পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়?

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর