ব্যুরো নিউজ,৩০ জুলাই: ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। ১৩ বছর হয়ে গিয়েছে, এর আগে একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, রাজ্যের ১০০% কাজ হয়ে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ধরে নেওয়া যায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের কাজ ১০০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার তার দলেরই সাংসদের গলায় শোনা গেল বিরোধীদের সুর।
কি বলেছেন তৃণমূল সাংসদ রচনা?
প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় শীর্ষে রয়েছে কলকাতা! হতাশ স্বাস্থ্য দপ্তর
সম্প্রতি হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে অপারেশনের পরে ৫ প্রসুতির অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাদের মধ্যে একজন মারা যান। আর তারপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য মহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনা কেন ঘটল, তা খতিয়ে দেখার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়। এবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিষেবা সম্পর্কে আলোচনা করতে স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির জেলাশাসকসহ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। আর সেখানেই বৈঠকের পর রচনা বলেন, এতদিনে বুঝতে পারলাম কিছুই হয়নি। এমন জায়গায় এসে পড়েছি, মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবী জয় করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম খারাপ অবস্থা। এবার প্রতিটা বড় হাসপাতালে যাব। দেখব সেখানে কি অবস্থা রয়েছে? কি কি আটকে আছে? তারপর দিদির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা করব।
প্যারিস অলিম্পিক্স ভারতকে প্রথম ব্রোঞ্জ মনুর হাত ধরে
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই হুগলির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ করে চলেছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে চরম অবনতি হয়েছে, সেই বিষয়টিও তিনি বারে বারে তুলে ধরেছেন। এমনকি এবার লোকসভার ভোট প্রচার চলাকালীন স্বাস্থ্য দপ্তরের এই অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছেন। এবার সেই একই কথা শোনা গেল তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যি বললে তার নিজের দলের সাংসদের গলায় বিরোধীদের সুর বাজছে কেন?