ব্যুরো নিউজ,২৭ জুলাই: লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২৯ টি আসনে জয়লাভ করার পরেও স্বস্তিতে নেই। তার কারণ, রাজ্যের শহরাঞ্চলে তৃণমূল অধিকাংশ জায়গাতেই পিছিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে পুরসভা এবং কর্পোরেশন এলাকাগুলোতে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু পুরসভা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। আবার অধিকাংশ পুরসভার ওয়ার্ডেই জয় লাভ করেছে বিজেপি। তাই এবার দলের মধ্যেই অন্তর্ঘাত হচ্ছে কিনা সেই ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট ইন্ডিয়া জোটের, তবুও মমতা যাচ্ছেন কেন?নেপথ্যে কোন কারণ?
বিভীষণ খুঁজে বের করতে রিপোর্ট তলব তৃণমূলের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে লিখিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন। লোকসভা নির্বাচনে দলের আসন সংখ্যা বাড়লেও বহু বিধানসভা এবং পুরসভা ভিত্তিক ফলাফল কেন খারাপ, তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ঘরের শত্রু বিভীষণ নেই তো? দলের অন্দর থেকে কেউ অন্তর্ঘাত করছে না তো? সেই কারণেই একেবারে গ্রাউন্ড রিপোর্ট বিধায়ক এবং সাংসদদের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে অভিষেকের অফিস থেকে। বিধায়ক এবং সাংসদদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে দলের সঙ্গে থেকে কেউ পিছন থেকে ছুরি মেরেছে কিনা বা সামনে তৃণমূল পিছনে বিজেপির পক্ষে প্রচার করেছে কিনা, কেউ অসহযোগিতা করেছে কিনা।
ডিজিটাল ব্যবস্থাই ছুটছে কলকাতা মেট্রো: ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে UPI
আর ওই রিপোর্ট এসে পৌঁছলেই দলের একেবারে বুথ লেভেল থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত বহু পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এমনিতেই একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে অভিষেক পুর এলাকায় দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যদি বিধানসভার ফলাফলের হিসাব করা যায়, তাহলে ৯০ টির বেশি বিধানসভা তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। তাছাড়াও বহু পুরসভার ক্ষেত্রে তৃণমূলের ফলাফল বিজেপির থেকে অনেকটাই খারাপ হয়েছে। আর এখানেই প্রমাদ গুনছেন মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই দলের কর্মীদের কি ধরনের নিষ্ক্রিয়তা এবং কি ভূমিকা ছিল, তার বিস্তারিত জানতে চেয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।