ব্যুরো নিউজ, ১৪ জুন: তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী, সাংসদদের বিরুদ্ধে ভুড়িভুড়ি দুর্নীতি, কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। আর এবার সদ্য ভোটে জেতা তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ।
NEET: ডাক্তারি পরীক্ষায় দুর্নীতির ভুড়িভুড়ি অভিযোগ! ফিজিক্সে ১ পেয়েও কীভাবে প্রথম ১০-এ পরীক্ষার্থী?
সাংসদ হতে না হতেই দুর্নীতির অভিযোগ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে। লোকসভা নির্বাচন মিটতেই তাঁর নামে এল নোটিস। জানা গিয়েছে, জমি দখলের অভিযোগে গুজরাটের ভাদোদরা পুরসভার তরফে ইউসুফ পাঠানকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রহরমপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়েন ইউসুফ পাঠান। সেখানে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর গড়েই সবুজ ঝড় তোলেন পাঠান। আর এবার তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে গুজরাটের ভাদোদরায় পুরসভার একটি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জমি দখলের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ইউসুফ পাঠানকে নোটিস পাঠানো হয়েছে পুরসভার তরফে।
জানা গিয়েছে, গুজরাটের ভাদোদরার তানাদালজা এলাকায় ২০১২ সালে একটি জমি কেনেন ইউসুফ পাঠান। সেই জমি লাগোয়া জমিটিও কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেই জমিটি পুরসভার। তবে ওই জমি কিনতে প্রতি স্কোয়ার মিটারে ৫৭ হাজার টাকা দাম দিতেও রাজি ছিলেন পাঠান। তবে পুরসভার তরফে পাঠানের জমি কেনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। ভিএমসির বৈঠকে পাঠানের জমি কেনার প্রস্তাব পাশ হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, এরপরই সেই জমি জবরদখল করে নেন ইউসুফ পাঠান। এমনকি পুরসভার ওই জমিতে পাঁচিলও তুলে দেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ইউসুফ পাঠানকে ওই জমির পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি সেই কাজ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে গুজরাট সরকার।