ব্যুরো নিউজ, ২২ মে : কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া নেওয়া গেস্ট হাউজে অভিযান চালায় পুলিশ। তা নিয়ে কার্যত উত্তাল রাজ্য- রাজনীতি। এমনকি থানায়ও অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। আইনি পথেই ঘটনার মকাবিলা করার কথাও বলেন। হুশিয়ারি দেন, এর শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি। কার্যত তা নিয়ে যখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে তখনই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরনের আপ্তসহায়ক-এর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
কোলাঘাটে শুভেন্দুর গেস্ট হাউজে আচমকা পুলিশি হানা! সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিযান! থানায় শুভেন্দু
যখন ভোট প্রচারে ব্যস্ত বিরোধী দলনেতা, সেই সময়েই তাঁর গেস্ট হাউজে পুলিশি অভিযান। তবে শুধু শুভেন্দু অধিকারীর গেস্ট হাউজই নয়। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরনের আপ্তসহায়ক তমঘ্নর বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ।
গতকাল বেলা বাড়ার সাথে সাথেই চরমে ওঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কীভাবে পুলিশ অভিযান চালায় তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন শুভেন্দু। এরপরেই আরও বাড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজনৈতিক প্রতি হিংসার অভিযোগ তুলে একের পর এক বোমা ফাটাতে থাকেন তিনি। কিন্তু রাত গড়ালেও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার নাম গন্ধ নেই। ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তুলে থানায় পৌঁছান বিরোধী দলনেতা। সেখানে ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি কর্মী- সমর্থকদের বিক্ষোভ। এমনকি থানা থেকে বেরিয়েও এক প্রকার গর্জন করতে শোনা যায় বিরোধী দলনেতাকে।
এই রেশ কাটতে না কাটতেই অন্যদিকে মধ্যরাতেই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরনের আপ্তসহায়ক তমঘ্নর খড়গপুরের তাল বাগিচার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এবিষয়ে হিরণ বলেন, কি কারনে পুলিশি অভিযান তা জানায়নি। এমনকী তল্লাশি করার কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গী এসেছে। তিনি এও বলেন, ঘটনার ঘবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁর আপ্তসহায়কের বাড়ি পৌঁছান।
ঘটনায় হিরণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বলেন, তৃণমূল জানে যে ওরা ভোটে জিততে পারবে না। এর আগে এখানকার অভিনেতা সাংসদ বুথ জ্যাম করে ভোটে জিতেছিলেন। এবার তা হবে না। মান সম্মান জলাঞ্জলী যাবে। তাই এগুলো শেষ অস্ত্র হিসাবে পুলিশকে দিয়ে সন্ত্রাস তৈরি করছে। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী অরগে অভিনেতা দেবের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন উনি নাকি সৌজন্যতার প্রতীক। বাংলার মানুষ দেখুক তাঁর সৌজন্যতা।