ব্যুরো নিউজ, ২২ মে : কোলাঘাটে শুভেন্দুর গেস্ট হাউজে আচমকা পুলিশি হানা! সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিযান! থানায় ছুটলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলার স্কুলে স্কুলে ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা! যুগান্তকারী পদক্ষেপ সরকারের তরফে
কোনও রকম সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁর গেস্ট হাউজে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এমনটাই দাবি করে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, সার্চ ওয়ারেন্ট, ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়া কীভাবে অভিযান চালাতে পারে পুলিশ? এমনকি তাঁর উপস্থিতি বা তাঁর অনুমোদিত কোনও লোক উপস্থিত ছিলনা সেখানে। এরপরেও পুলিশ আধিকারিকরা কীভাবে অভিযান চালায়? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
গতকাল কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া নেওয়া গেস্ট হাউজে আচমকা অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযোগ তুলে কোলাঘাট থানার দারস্ত হন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, অনেক মানুষ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। যেহেতু কাঁথি ও কলকাতা দু’টি জায়গাই অনেকটা দূর, যাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে কোনও সমস্যা না তাই তিনি কোলাঘাটে ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন। তবে, কেয়ারটেকার তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানান যে, কিছু সিভিল ড্রেসে আইপ্যাকের ছেলে ও কোলাঘাটের সিআই ও ওসি কাউকে না বলে এখানে ঢুকেছে। আর এরপরেই নিজের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী বাতিল করেই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ঘটনায় রাজ্য ও রাজ্যের পুলিশের বিরুক্ষে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। কেন তাঁর অনুপস্থিতিতে আচমকা পুলিশি হানা সেই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, তাঁর বা তাঁর অনুমোদিত লোকের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে অভিযান হতে পারে? যদি দুটো ভাঙা বন্দুক বা জাল নোট বা মাদক রেখে দেওয়া হয়, তার দায় কে নেবে? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। আর এই অভিযোগ তুলেই কোলাঘাট থানায় যান শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি এও জানান, যদি সার্চ ওয়ারেন্ট থাকে, হাইকোর্টের অনুমোদন থাকে তবে তাঁর উপস্থিতিতে তিনি অবশ্যই পুলিশি অভিযানের অনুমতি দেবেন। গোটা ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই করা হচ্ছে বলেও সরব হন শুভেন্দু অধিকারী।
এরপর কোলাঘাট থানায় কার্যত ঝড় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। থানার বাইরেও চলে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ- স্লোগান। এরপর থানা থেকে বেরিয়ে গর্জনের স্বরে শুভেন্দু বলেন, যে পুলিশকর্মীরা গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর শেষ আমি দেখে ছাড়ব। এমনকি তিনি এও বলেন যে, রাতেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ তিনি কমিশনকে পাঠাবেন। আর জা হবে তা আইনি পথেই।