লাবনী চৌধুরী, ২১ এপ্রিল: ঘাটালে ভোট বয়কটের ডাক। প্রথম থেকেই চর্চায় ঘাটাল। লোকসভার নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই ঘাটালের রাজনীতি উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে।
এবার OTT-তে বিগ বস সিজন-৩ | সঞ্চালনায় কে? ভাইজান কি থাকছেন?
সে সময় রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিতে চেইলেও অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তেই গলে পাথর। এরপর চলমান লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েও ভোট লড়ছেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী অভিনেতা হিরণ্ময় ওরফে হিরণ।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সেখেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেবের সমর্থনে প্রচারে নেমে বলেন, হিরণ তৃণমূলে আসতে চেয়েছিল কিন্তু এখন তৃণমূলের দরজা বন্ধ। এর প্রত্যুত্বরে অভিষেকের নাম না করেন হিরণ বলেন, উনিই তো আমায় ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আর দুই পক্ষের এই তরজায় ফের চর্চায় আসে ঘাটালের রাজনীতি।
তবে এবার, ভোটের আবহেই দেব- হিরনের কেন্দ্রে ভোট বয়কটের ডাক। এই তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে জল কষ্টে ভুগছেন সেখানকার মানুষ। অভিযোগ, তাতেও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই ক্ষোভেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে কৃষকরা।
দূরদর্শনের লোগোর রং বদলের ঘটনায় রাজনৈতিক রং! গেরুয়াতে ওনার এত রাগ কেন? প্রশ্ন BJP-র
এদিকে বাঁকুড়াতেও জলকষ্টে ভুগছে মানুষ। অভিযোগ এলাকায় জলের পাইপ লাইন থাকলেও জল আসেনা। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের কেন্দসায়ের গ্রামে পানীয় জলে সমস্যা। যখন একটু জলের জন্য ছাতি ফাটছে। তখন একটু জল পেতেই মরিয়া সেখানকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই চরম গরমে জলকষ্টে ভুগছে গোটা গ্রাম। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লক খরাপীড়িত এলাকা। তাই এখানে জলের সমস্যা সমাধানের জন্য বসানো হয়েছে পাইপ লাইন। কিন্তু সেই পাইপ লাইন নামেই। জলের পাইপ লাইন আছে কিন্তু জল নেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মাত্র দু’দিনের জন্য তারা এই পাইপ লাইন দিয়ে জল পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর জলের দেখা নেই। ভোটও গেছে, জলও গেছে।
আর এবার জলকষ্টের জন্য ঘাটালে ভোট বয়কটের ডাক। তবে ভোট বয়কটের ডাক ঘাটালে এই প্রথম নয়, মার্চের শেষের দিকেও সেখানকার মানুষ দেয়। অভিযোগ, উন্নয়ন, এমনকি রাস্তার বেহাল অবস্থায় বহু বছর ধরে প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার মানুষ। তারা জানান যে, এই সমস্যা তাদের দীর্ঘ দিনের। কিন্তু বহু অভিযোগ, কাঠখড় পুরিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি জন প্রতিনিধি থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতে জানিয়েও সেই একই ফলাফল। জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, ভোট আসলেই নেতা থেকে মন্ত্রীদের দেখা যায়। আর ভোট ফুঁড়লেই তারাও ‘ভ্যানিশ’।
এবারও এলাকার কৃষকরা অভিযোগ তুলে বলেন, বছরে বর্ষায় একবার চাষ করি। কিন্তু প্রশাসন কৃষকদের জন্য কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। তাই তারা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন বলে জানান। কারন তাদের চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল কিনতে হয় বহু মূল্যে। এলাকায় একটি সেচের জলের প্রকল্প বসানো হলেও প্রশাসন বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় তা থেকে জল মেলেনা। এর আগেও অভিযোগ, প্রতিবাদ, পথ অবরোধ করেও কোন লাভ হয়নি। সেই সময় বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া, দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা দোলইয়ের থেকে প্রতিশ্রুতি মিললেও কোন কাজের কাজ হয়নি। তাই তারা স্পষ্ট বলেন যে, আমরা যখন বঞ্চিত তখন আমরা ভোট দেব কেন? তাই এই ভোট তারা বয়কট করার কথা বলেন। এমনকি এলাকায় ভোট বয়কটের পোষ্টারও দেন।