ব্যুরো নিউজ, ১০ এপ্রিল: রমজান মাস শেষে পবিত্র খুশির ঈদ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের শ্রেষ্ঠ উৎসব। সেই ঈদ উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে নিজেদের এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর থানার অন্তর্গত উত্তর খোদার বাজার যুব সংঘের ঈদ উপলক্ষে মিলন উৎসব হয় এদিন।বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ প্রকটতর। মানুষের মধ্যে মিল মহব্বত ফিরিয়ে আনে খুশির ঈদ।
শাহজাহানকে নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
নিজের জন্য ভোটের বাক্সের আশীর্বাদ চাইতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি সায়নী ঘোষ
খুশির ঈদে নিজেদেরকে নিয়োজিত করার জন্য উত্তর খোদার বাজার যুব সংঘের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আর পাঁচটি উৎসবের মতো বিভিন্ন রকম থিমের আয়োজন করা হয়ে থাকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর উত্তর খোদার বাজারের যুব সংঘের এবারের ভাবনা মসজিদ আন নববী। ঈদের আগেই আজ ৪৫ তম বর্ষের এই মিলন উৎসবের শুভ সূচনা করলেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জি, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্র, বারুইপুর পৌরসভার উপপৌরপ্রধান গৌতম কুমার দাস সহ একাধিক কাউন্সিলর।
এছাড়াও, এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্বোর্ধিত হন ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি এবং ফুরফুরা দরবার শরীফের পীরজাদা আলহাজ্ব মাসুম বাখতিয়ারী আল জালালী। প্রধান উপদেষ্টা সাদিক ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “সব মানুষের ক্ষমতা নেই মদিনা শরীফে যাওয়ার। যারা যেতে পারেন না তারা ভাবেন কি আছে তার মধ্যে। অনেক মানুষের ইচ্ছা এবং আশা থাকলেও সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে না। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সেই সব অগণিত মানুষের কথা মাথায় রেখেই মদিনা শরীফের মসজিদ আন নববী এর আদলে তৈরি করা হয়েছে এই মন্ডপ।”
এই অনুষ্ঠানে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ বলেন, “ইডি সিবিআই এর কর্মীরা ভোটে পশ্চিমবাংলার নেমে পড়ুক। যেভাবে ইডি সিবিআই কে দিয়ে বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে তাতে করে ওদের ভোটে নেমে পড়া উচিত। ওদের রোজ রোজ আসতে হবে না বাংলাতে। পশ্চিম বাংলায় ওরা ঘর ভাড়া করেই থাকুক।” এছাড়াও তিনি মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ” ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আল্লাহ চেয়েছেন আমি এখানে আসি, তাই আসতে পেরেছি। এখানে এসে মসজিদের আদলে এই মন্ডপ দেখে আমি বিস্মিত।” এই মিলন উৎসবে এসে তিনি নিজের জন্য ভোটের বাক্সের আশীর্বাদ চাইতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।