লাবনী চৌধুরী, ৬ এপ্রিল: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। আর ব্রিগেডের সভা থেকে নাম ঘোষণার পর থেকেই জোর কদমে নেমেছেন ভোট প্রচারে। প্রচারে নেমে নিজের বক্তব্যেই নানা কটাক্ষের মুখে পড়েছেন রচনা। আর তাকে নিয়ে যথেষ্ট ট্রোলও হয়েছে। নেট দুনিয়ায় রীতিমত ভাইরাল তার নানা বক্তব্য। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে মিম। কখনও ‘ধোঁয়া শিল্প’ আবার কখনও ‘গরুর রচনা’ এমন নানা মিম সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তবে তার বলা ‘গরুর রচনা’ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, এবার তারই ব্যখ্যা দিলেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী রচনা ব্যানার্জী।
কয়েকদিন আগে প্রচারে যান রচনা ব্যানার্জী। সেখানে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে দুপুরের ভোজ সারেন তিনি। আর সেখানের জমির টাটকা ফসলের তৈরি খাবার, গরুর খাটি দুধের দই খেয়ে একেবারে অভিভূত হয়ে পড়েন তৃণমূল নেত্রী। এরপরেই তার সেই ভালোলাগা ভাগ করে নিয়ে গিয়ে যা বলেন তা থেকেই শুরু হয় হাস্যরসের খোঁড়াক। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে এত গাছ-পালা চারদিকে। এতো ঘাস, সেগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে গরুগুলো। আর তাতেই ভাল দুধ দিচ্ছে। আর সেই দুধের দইও ভাল হচ্ছে। আর তার এই বক্তব্য থেকেই শুরু হয় ট্রোল। এমনকি শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়। এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন নানা রাজনৈতিক দলের নেতারাও। আর এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা ব্যানার্জী।
প্রচারে নেমে ফের গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে সায়নী! অভিযোগ, নেই জল-রাস্তা
UPI দিয়েও এবার থেকে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাবে টাকা
টাকফাটা গরমে রোদের তোয়াক্কা না করেই প্রচার চালাচ্ছে নেতা- নেত্রীরা, পাশাপাশি পরিবেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আরও বেশি গাছ লাগানো উচিত, আরও বেশি সবুজায়ন দরকার। আর এই কথাটাই সেদিন বলতে চেয়েছিলাম, যেটা নিয়ে এত মিম হল, ভাইরাল হল। তিনি বলেন, আমার বক্তব্য ছিল, সিঙ্গুরে এত সবুজায়ন। সেই জমির ঘাস খাচ্ছে গরু। এই জমিরই ফসল আমরা খাচ্ছি। এই এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা তো সবাই সিঙ্গুরের জমির ফসল খান। সেটাই আমার মূল বক্তব্য ছিল। আর এই নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলেছেন। তবে আমার মন থেকে যেটা মনে করি সেটাই আমি বলি।