ব্যুরো নিউজ, ৫ এপ্রিল: রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে সরানো সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপরই রাজ্যপাল রাজ্যসরকারের সীমারেখা উল্লেখ করে যে রিপোর্ট কার্ড পাঠিয়েছিল তার জবাবে রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি দিল রাজ্য সরকার। সেখানে রাজ্যপালের এক্তিয়ার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘আচার্য তথা রাজ্যপাল বিধিবহির্ভূতভাবে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন। পড়ুয়াদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
এই নিয়ে তৃতীয় বার খারিজ হল কেজরীওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর মামলা! কী বলল দিল্লী হাইকোর্ট?
সাংবিধানিক প্রধানের এক্তিয়ার উল্লেখ করে চিঠি
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সম্মেলন হয়। সেই সন্মেনলে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে জেলায় তৃণমূলের দুই প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউটও বসানো ছিল ওই সভায়। সেখানে উপস্থিত থেকে ব্রাত্য বসু রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন। শিক্ষাঙ্গনে কেন রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, এরপর রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদ থেকে সরিয়েও দেন। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে উপাচার্যকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করে রাজ্য সরকার। এরপর বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করেন রাজ্য সরকার। তারপরই রাজ্যপালের এক্তিয়ার উল্লেখ করে কড়া বার্তা দিল রাজ্য সরকার।