ব্যুরো নিউজ, ৩ এপ্রিল : সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখ। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি আধিকারিকরা সন্দেশখালিতে তাঁর বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন শাহজাহান। এরপরেই একের পর এক কুকীর্তি ফাঁস হতে থাকে শাহজাহানের। নানা অছিলায় গ্রামের মহিলাদের সন্মানহানি থেকে শুরু করে মাছের ভেড়ি দখল সহ একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। শেখ শাহজাহ্ন এতটাই শক্তিশালী যে, ঘটনার দীর্ঘ ৫৫ দিন পর পুলিশের জালে ধরা পরে শাহজাহান।
কোর কমিটির বৈঠক থেকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের?
ইডির তৎপরতায় চাপ বাড়ছে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার
এরপর আদালতের নির্দেশে শাহজাহানকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ইডির তৎপরতায় শাহজাহানের একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসতে থাকে। আর্থিক দুর্নীতি, মাদক যোগ, জমি কেলেঙ্কারি, কিংবা মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাহজাহানের। এবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসা। ইডি সূত্রে খবর আফগানিস্তান থেকে, পাকিস্তানের বন্দর শহর হয়ে মাদক যেত করাচিতে। সেখান থেকে দুবাই হয়ে মাদক এসে পৌঁছত গুজরাটে। সেখান থেকে আসত কলকাতা বন্দরে।
উল্লেখ্য, ২০২২ এ প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন আটক হয়। সেই ব্যবসার মূল দায়িত্ব ছিল শরিফুল মোল্লার। যদিও সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন শরিফুলের ভাইও। এখনও অধরা শরিফুল মোল্লা। এখানেই শাহজাহানের কীর্তি থেমে নেই। আরো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে গরিবের ত্রাণ চুরি থেকে শিশুদের মিড ডে মিলের খাবার চুরির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় স্কুল বন্ধ করে পার্টি অফিস চালাত শাহজাহান। ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন জেলিয়াখালির মানুষ। সব মিলিয়ে ইডির তৎপরতায় ক্রমশই চাপ বাড়ছে শাহজাহানের।