বিজেপিতে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং
ফুল বদল করেই সন্দেশখালি ইস্যুতে সোচ্চার
ব্যুরো নিউজ, ১৫ মার্চ, শর্মিলা চন্দ্র: অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপিতে যোগ দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এদিন দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করে অর্জুন, দিব্যেন্দু। হেভিওয়েট বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন দিব্যেন্দু এবং অর্জুন। অমিত মালব্য বলেন, ‘অর্জুন সিং ৪ বারের বিধায়ক, বর্তমান সাংসদ। অন্যদিকে তৃণমূলের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী যোগ দিলেন বিজেপিতে। বাংলার দুই রাজনীতিবিদকে বিজেপিতে স্বাগত।’
তবে কি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকবেন না কোহলি? জল্পনা তুঙ্গে!
ফুল বদল করেই সন্দেশখালি ইস্যুতে সোচ্চার
অমিত মালব্য আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত। অনেক মন্ত্রী জেল খাটছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বাংলায়। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের ভাল চান, তাঁদের আমরা বিজেপিতে নিয়ে আসব। অন্যদিকে, দল বদল করে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, আজ আমার জীবনে একটি শুভ দিন। আমি বিজেপি পরিবারের সদস্য হলাম আজ থেকে। নরেন্দ্র মোদি সারা দুনিয়ার নেতা। বাংলায় সন্দেশখালিতে মহিলাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা নিন্দার ভাষা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন বিজেপির প্রতীকে এবং দিব্যেন্দু তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে বিস্তর দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূল নেতৃত্বের। ফলে খাতায়কলমে তৃণমূল সাংসদ হলেও শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দুর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই রাজ্যের শাসকদলের। অন্যদিকে, ২০২২ সালের মে মাসে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু এবার তাঁকে তৃণমূল লোকসভার প্রার্থী না করায় আবার বিজেপিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।