ব্যুরো নিউজ, ১০ মার্চ: একদিকে যখন ব্রিগেড থেকে বিজেপিকে নিশানা করছে শাসক শিবির, তখন সন্দেশখালিতে বিজেপির সভা ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা। কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপিকে ন্যাজাটের আক্রাতলায় সভার অনুমতি দিয়েছে। সভাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য কড়া পুলিশি নিরাপত্তার কথাও জানিয়েছে আদালত। সভায় উপস্থিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে চারবার রাজ্যসফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিবারই সন্দেশখালি ইস্যুতে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে প্যাঁচে ফেলতে সন্দেশখালি ইস্যুকেই হাতিয়ার করবে বিজেপি তা স্পষ্ট। এদিন সভা মঞ্চ থেকে বিজেপি সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কী বার্তা দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার বিজেপির
অন্যদিকে, সভায় আদালতের নির্দেশিকা, সভা থেকে কোনও কটুক্তি বা কুরুচিকর মন্তব্য করা যাবে না। সভার জেরে এলাকায় যেন কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয়। রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সভা করতে পারবে বিজেপি।
পদত্যাগ করলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দু’বার সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পুলিশ তাঁকে ঢুকতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, শুভেন্দু এবং শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালি যেতে পারবেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কোনও নেতা-কর্মী যেতে পারবেন না। হাইকোর্টের নির্দেশের পর সেদিন সন্দেশখালি ঢোকেন শুভেন্দু। দীর্ঘক্ষণ তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বলে আসেন, ফের তিনি সন্দেশখালি আসবেন।
ব্রিগেডে তৃণমূল জনগর্জন সভা দিন বিজেপি সন্দেশখালিতে সভা করলেও সন্দেশখালি নিয়ে একটাও শব্দ খরচ করতে দেখা গেল না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।