ব্যুরো নিউজ, ৩ মার্চ: এতদিন বেশ ভালোই কাটছিল, ঠাণ্ডা শীতের আমেজ, নেই তপ্ত রোদ, ঘাম, প্যাচপ্যাচে আবহাওয়া। গায়ে রোদ লাগতেও তা বড়ই আরামের। কিন্তু এবার ফের মাথা চারা দিচ্ছে গরম।
রাস্তায় বেরোনোর কথা ভাবলেই যেনও কান্না পায়। কারন ঠাটা-পোড়া রোদের থেকে নিস্তার নেই। আর সেই রোদ এড়াতেই যত চেষ্টা, ছাতা নিয়ে হাতে মুখে স্কার্ফ বেঁধে কতোই না ফন্দী- ফিকির। কারন কোনও ভাবেই রোদে স্কিন পুরতে দেওয়া চলবে না। কিন্তু সূর্যি মামাও বড়ই জেদি। তার জেদের চোটে রোদের তেজেই পুড়ে খাক।
ফেলুদা চরিত্রে ফের পর্দায় টোটা
আর রোদের তেজে মুখে হাতে গলায় পড়ে মারাত্মক ট্যান। কিন্তু এই ট্যান দূর করার জন্য প্রথম থেকেই বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবেই ত্বককে রক্ষা করা যাবে আল্ট্রাভায়োলেট রে ও রোদের তাপে পোড়া ট্যান থেকে।
বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি সানস্ক্রিন লোশন। কিন্তু এই সানস্ক্রিন লোশন শুধুমাত্র বাইরেই নয়, বাড়িতে থাকলেও ব্যবহার করা উচিত।। কারণ দিনের বেলায় জানলা দিয়েও রোদের তাপ ঢোকে ঘরে। তাপ শরীরে মেলানিন উৎপন্ন করে আর এই তামাটে ছাপ তৈরি হয় স্কিনে। তাই রান্নাঘরে রান্না করার সময়ও সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া ঘরোয়া কিছু টোটকা আছে যা ব্যবহার করলে অনেক বেশি ট্যান মুক্ত রাখা যাবে ত্বককে।
ট্যান তুলতে পাকা পেঁপে ও দুধের জুরি মেলা ভার:
পাকা পেঁপে দুধের সঙ্গে বেটে মুখে লাগান । মিশ্রণটি লাগিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে দিয়ে তারপর হালকা মাসাজ করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং প্রতিদিনের ট্যান থেকে রেহাই পাবেন আপনি।
সাদা সরষে ও দুধের মিশ্রন:
সাদা সরষে এক চামচ নিয়ে তাতে দুধ দিয়ে বেটে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ টক দই ও দিতে পারেন। ২ থেকে তিন মিনিট হালকা মাসাজ করার পর দশ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এটি যেমন ভালো স্ক্রাবারের কাজ করবে ত্বকের মরা কোষ দূর করবে তেমনই ত্বক উজ্জ্বল রাখবে তার সাথে রোদে পোড়া ট্যান থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।
এই টোটকা প্রতিদিন স্নানের আগে করতে পারেন। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে যদি এই মিশ্রণটি লাগানোর পর ত্বকে হালকা জ্বালা বা চুলকানি অনুভব হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলবেন।