ব্যুরো নিউজ, ১ মার্চ: আজ মার্চ মাসের শুরুতেই বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম থেকেই তার এই সফরকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। এবং এও আশঙ্কা করা হচ্ছিল বাংলা থেকেই তিনি কোনও বড় ঘোষণা করতে পারেন। শুক্রবার আরামবাগে সভা করেন তিনি। আর সেখান থেকেই বাংলার ‘জ্বলন্ত’ সন্দেশখালিকে ‘শান্ত’ করার উদ্দেশ্যে একাধিক বার্তা দেন তিনি।
পদ ছাড়লেন কুণাল ঘোষ | কিন্তু কেন?
তবে বাংলায় রাজনৈতিক কর্মসূচী, সভার পাশাপাশি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ঘোষণা করবেন বলে জানা গিয়েছিল। সেই মতো নরেন্দ্র মোদী জানান, কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গে রেলের উন্নয়নের জন্য ১৩ হাজার কোটির বেশি বরাদ্দ করেছে। ২০১৪-র আগে যে বাজেট ছিল, তা আরও তিনগুন বাড়ানো হয়েছে। রেল লাইনের কাজ, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য, স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। অমৃত ভারত প্রকল্পে বাংলার ১০০টি স্টেশনের চেহারা বদলে যাবে। তার মধ্যে তারকেশ্বর স্টেশনও রয়েছে।
উন্নয়নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আটকে রয়েছে বাংলায়। ঝরিয়া আর রানিগঞ্জে ৬ বছর আগে কয়লা প্রকল্প শুরু করা নিয়ে বলেন তিনি যা আজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। গত চার বছরে গোটা দেশে ১১ হাজারের বেশি মানুষ পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই, কচ্ছপের গতিতে কাজ করছে এই সরকার। যে প্রকল্পে গরিব মানুষের ভাল হয়, তাতেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল।’
একই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে ধরনায় বসছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকে আটকাতে চাইছেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকার সে সব কাজে সমর্থন না করায় মোদীকেই তৃণমূল তাদের এক নম্বর শত্রু বলে মনে করছে। ” মোদী আরও বলেন, “তৃণমূল দুর্নীতি আর অপরাধে বাংলায় নতুন মডেল তৈরি করেছে। অপরাধীদের থেকে তৃণমূল নেতারা প্রচুর টাকা পান”।
এদিন মঞ্চ থেকে সন্দেশখালির পলাতক নেতা শেখ শাহাজাহানের প্রসঙ্গে বলেন, দু মাস ধরে তৃণমূল নেতা পলাতক ছিলেন। কেউ তো নিশ্চয় ছিল, যে আড়াল থেকে সাহায্য করছিল। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মোদী বলেন, সন্দেশখালিতে যে অন্যায় হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো? সাধারনের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুড়েদেন তিনি।
এছাড়াও সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা দেখে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। রাজ রামমোহন রায়ের আত্মা আজ সন্দেশখালির এই অবস্থা দেখে কাঁদছে। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে দুঃসাহসের সব সীমা পার হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু বদলে কী পেয়েছেন? এদিকে বিজেপি নেতারাই সন্দেশখালির জন্য দিন-রাত লড়েছেন।