ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে একাধিকবার সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিলো। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ একটি বাণিজ্য সম্মেলনে গিয়ে জানিয়েছিলেন লোকসভা ভোটের আগেই দেশে CAA চালু করা হবে। তাঁর সেই কথায় এবার সিলমোহর পড়লো। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছে CAA আইন। তবে, তৈরি হওয়া এই আইন কবে কার্যকর হবে তা নিয়ে জল্পনা ছিল।
২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে নথি ছাড়া যে সমস্ত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, ও পারসি ধর্মাবলম্বী মানুষেরা ভারতে এসেছেন তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই লাগু হচ্ছে CAA। জানা গিয়েছে, আগামী মাসেই চালু হতে চলেছে এই CAA আইন। ইতিমধ্যে এই বিষয় কার্যকর করতে চালু করা হয়েছে অনলাইন পোর্টাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই CAA আইন বিষয়ক মহড়াও হয়ে গিয়েছে।
অবশেষে চালু হতে চলেছে দেশে CAA
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তরফে দেওয়া বার্ষিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু করে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৯৫৫ সালের কার্যকরী হওয়া নাগরিকত্ব আইন মেনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মোট ১ হাজার ৪১৪ জন অমুসলিম নাগরিককে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে পাশ হওয়া এই CAA আইনকে কেন্দ্র করে মোদী সরকারকে বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, CAA আইন লাগু করে দেশে ধর্মের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন করে জাতি বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের করোনা মহামারির আগে পর্যন্ত CAA আইন নিয়ে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের প্রচুর বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছিলো।
CAA আইন বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছিলেন, CAA লাগু হলে দেশে জাতি বিভেদ ঘটবে। তাই তিনি পশ্চিমবঙ্গে এই আইন লাগু হতে দেবেন না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, CAA চালু হলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা নষ্ট হবে। ইভিএম নিউজ